হাথরস কাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ছবিটাও বিশেষ আলাদা কিছু নয়। নারী নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা সেখানেও নিত্যনৈমিত্তিক। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক ঘটনা যা বর্বরতার চূড়ান্ত নিদর্শন। এক মহিলাকে টানা ১০ দিন থানায় আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ। তাও আবার পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। শিবরাজ সিং চৌহানের রাজ্যের এই ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে গত ১০ অক্টোবর। খুনের অভিযোগে জেলবন্দী এক মহিলা অভিযোগ করেন, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার মাঙ্গাওন থানায় আটকে রেখে লাগাতার ১০ দিন গণধর্ষণ করা হয়েছে তাঁকে। ওই মহিলার দাবি, তিনি আগে পুলিশ কনস্টেবল ছিলেন। তাঁকে মিথ্যে মামলায় হাজতে আটকে রাখা হয়। গত ৯ থেকে ২১ মে সেখানেই ৫ পুলিশকর্মী টানা ধর্ষণ করে। তারপর পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই মহিলা এখন জেল হেফাজতে আছেন। রেওয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা আদালতের বিচারক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তিনি করেন। ওই মহিলার দাবি, জেলের ওয়ার্ডেনকেও আগে এই ধর্ষণের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ কোনও পদক্ষেপ করেনি। বিচারক এই অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তে নেমেও চাঞ্চল্যকর সব তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। ওই জেলের ওয়ার্ডেন স্বীকার করে নিয়েছেন যে নির্যাতিতা আগেই তাঁকে ধর্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। পুলিশের অবশ্য দাবি, মহিলা মিথ্যা কথা বলছেন। ২১মেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সরকার। সামনেই রাজ্যের ২৮টি আসনের উপনির্বাচন। যা কিনা সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। তার আগে থানার ভিতরেই গণধর্ষণের এই অভিযোগ নিয়ে এবার সরব হতে চলেছে কংগ্রেস। উপনির্বাচনে যা কিনা বড়সড় ইস্যু হতে পারে।