উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবককে গুলি। কাঠগড়ায় স্থানীয় বিজেপি নেতা। আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, এসবই হয়েছে রাজ্যের এক শীর্ষ আধিকারিকের চোখের সামনে। শেষপর্যন্ত ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তবে, গুলি চালনার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বালিয়াতে রেশনের ডিলারশিপ বণ্টন নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। বৈঠক চলাকালীনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয় বলে খবর। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি ফাঁকা মাঠে বহু মানুষ প্রাণভয়ে অত্রতত্র ছুটোছুটি করছেন। সেই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে গুলির শব্দ। পুলিশ সূত্রের খবর, এই এলাকায় অন্তত ৩ রাউন্ড গুলি চলেছে। আর তাতে জয়প্রকাশ নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, ধীরেন্দ্র সিং নামের এক স্থানীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। যিনি কিনা স্থানীয় বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংয়ের ঘনিষ্ঠ। সেকথা সুরেন্দ্র সিং স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র সিং ওই এলাকার বিজেপির প্রাক্তন চাকরিজীবী সেলের নেতা। যদিও, এই ঘটনাকে নেহাতই আর পাঁচটা সাধারণ ঘটনার মতো বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলছেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলেও, কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এদিকে, এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, রাজ্যে নারীরা যে নিরাপদ নন, সেটা তো আগেই বোঝা গিয়েছিল। এবার মনে হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলার কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। চাপে পড়ে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছে যোগী সরকার। যে আধিকারিকের সামনে এই ঘটনাটি ঘটেছে তাঁকে, এবং এক পুলিশকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।