খেলায় হার-জিত থাকে। কিন্তু নাইটদের এই পরাজয়কে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২ উইকেটে ১৯৪ রান তোলার পরেই বোঝা গিয়েছিল কেকেআরের পক্ষে কাজটা কঠিন। কিন্তু দীনেশ কার্তিকের দল কোনও টক্করই দিতে পারল না বিরাট ব্রিগেডকে। ক্রমাগত উইকেট পড়ায় নাইটদের ইনিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রানে আটকে যায়। ৮২ রানে জিতল আরসিবি। সাতটি ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা এখন তৃতীয় স্থানে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে গেল কেকেআর।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন কোহলি। তাঁর লক্ষ্য ছিল, কেকেআরের সামনে রানের পাহাড় খাড়া করা। সেই লক্ষ্যে তিনি সফল। ওপেনিং জুটিতে দেবদূত পাদিক্কাল ও অ্যারন ফিনচ তোলেন ৬৭ রান। কেকেআরকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন রাসেল। তিনি বোল্ড করেন পাদিক্কালকে (৩২)। যদিও তার আগেই অ্যারন ফিনচের উইকেট পেতে পারতেন ক্যারিবিয়ান তারকাটি। কিন্তু ১৯ রানে ফিনচের সহজ ক্যাচ ফেলেন নাগারকোটি। সেই সুযোগে অজি তারকা ব্যাটসম্যানটি ৪৭ রান করেন।
কেকেআরের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। কৌশল বদলে শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয় প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা টম ব্যান্টনকে। কিন্তু সেই ফাটকা কাজে দেয়নি। ব্যান্টনকে (৮) দ্রুত ডাগ-আউটে ফেরান সাইনি। মাত্র ৯ রান করে আউট হন নীতীশ রানাও। তবে শুভমান গিল উইকেট বাঁচিয়ে বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি রান আউট হতেই প্রবল চাপে পড়ে যায় নাইট বাহিনী। গিলের সংগ্রহ ২৫ বলে ৩৪ রান। আরসিবি’র দুই স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও ওয়াশিংটন সুন্দরের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে কার্যত মাথা তুলতে পারেননি কেকেআর ব্যাটসম্যানরা। চাহালের বলে দীনেশ কার্তিক ১ রানে বোল্ড হন। মরগ্যানকে ৮ রানে ফেরান সুন্দর। নাইট সমর্থকদের শেষ ভরসা ছিলেন আন্দ্রেল রাসেল। কিন্তু তাঁর অফ ফর্ম অব্যাহত। ১৬ রানে ক্যারিবিয়ান তারকা আউট হতেই জয়ের গন্ধ পেয়ে সিংহের মতো গর্জে ওঠেন বিরাট। কেকেআরের হার তখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। হয়েছেও তাই। নাইট লোয়ার অর্ডার পারেনি কোনও অঘটন ঘটাতে। আরসিবি’র হয়ে ক্রিস মরিস ও ওয়াশিংটন সুন্দর দু’টি করে উইকেট নেন। চাহাল ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১২ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন একটি উইকেট।