বিগত কয়েকদিন আগেই নবান্ন থেকে প্রত্যেকটি শিক্ষককে নিজের জেলায় বদলি হওয়ার সুযোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আর কয়েকদিনের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এবার পু্লিশ ও শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত আর্জি সরাসরি উঠে নবান্নের সভাঘরে৷ আজ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের বাবা ও মা’র বদলির আর্জি জানালেন কৃতী দুই পড়ুয়া৷ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের কাছ থেকে সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আজ নবান্নের সভাঘরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবর্ধনা দেওয়া হয় মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রান্স, আলিম, ফাজিল এবং হাই-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় আদিবাসী ছাত্রছাত্রী-সহ কৃতী পড়ুয়াদের৷ জেলার কৃতী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আর সেই কথোপকথনের মাঝেই গুরুতর দু’টি আর্জি শুনে চটজলদি সমাধান আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আজ নবান্নের সভাগৃহ মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম স্থান পাওয়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৌমিতা সামন্ত৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাতে গিয়ে মৌমিতা জানান, ‘‘আমার মায়ের স্কুল পশ্চিম মেদিনীপুরে৷ আড়াই ঘণ্টা ধরে তাঁকে বাস সফর করতে হয়৷’’ এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষকদের জন্য একটি পলিসি তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু হচ্ছে কী জানো, পূর্ব মেদিনীপুরে যা শিক্ষক আছেন, ধরে নাও, স্কুল আছে ৩ হাজার, সেখানে শিক্ষক আছেন ৫০ হাজার৷ ফলে এটা ফেস বাই ফেস শেষ করা হচ্ছে৷’’ এরপর শিক্ষামন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মমতা বলেন, ‘‘পার্থবাবু এই বিষয়টি আগে করে দেবেন৷’’
এরপর আরও এক পড়ুয়া তাঁর পুলিশকর্মী বাবার বদলির জন্য আবেদন জানান৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে উচ্চমাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করা সৌমিতা সামন্ত মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘ম্যাডাম আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ আছে৷ আমার বাবা বাসুদেব সামন্ত পুলিশ বিভাগে কাজ করেন৷ পুরুলিয়ায় পোস্টিং৷ আমাদের পড়াশুনার কাজে তেমন সহযোগিতা করতে পারেন না৷ যদি আমার বাবার পোস্টিং এই জেলায় করে দেওয়া যায়, তাহলে খুব ভালো হয়৷’’ জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব আছেন৷ দেখে দেবে নিশ্চয়ই৷ তাড়াতাড়ি এই কাজটা হয়ে যাবে। বাবার কল্যাণেই মেয়ের কল্যাণ৷’’