‘হাথরসে যা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে দেশের সকল মহিলা সোচ্চার হন’, মহর্ষি বাল্মিকী মন্দিরে প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়ে একথাই বললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অন্যদিকে, পরিবারের অনুমতি না নিয়ে গভীর রাতে নির্যাতিতার দেহ যেভাবে তড়িঘড়ি করে দাহ করা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে সোনিয়া-কন্যা বলেছেন, পরিবারের অনুমতি না নিয়ে শেষকৃত্য করা ঠিক হয়নি।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা আরও বলেছেন, ‘দলিত তরুণীর জন্য সুবিচার নিশ্চিত করতে সরকারের উপর আমাদের চাপ দিতে হবে। পরিবারের লোক দাহ করতে পারবে না এটা আমাদের পরম্পরা নয়।’ যোগী সরকারকে একহাত নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একটি ভার্চুয়াল বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনি প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন? এক ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে এ কেমন ব্যবহার? একজন মা তাঁর মৃত সন্তানের দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে পারল না। আপনার সরকার কী ভাবে এত অমানবিক হয়?’ ট্যুইটারে সরব হন রাহুল গান্ধিও। তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে। তিনি লেখেন, ‘বিজেপি সরকার দলিতদের দমিয়ে রাখছে। এই বিদ্বেষের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।’
এরপরই কংগ্রেস নেত্রী বলেছেন, ‘হাথরাসের মেয়ের বিচার চাইতে সকলে সোচ্চার হন, সকল মহিলার সরকারকে প্রশ্ন করার প্রয়োজন রয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘ওই তরুণীর সঙ্গে যা ঘটেছে, তাঁর পরিবার একলা সামলাচ্ছে, কারণ সরকারের থেকে কোনও সহায়তা মেলেনি। তাঁর পরিবার ভাবছে, তাঁরা একলা।’
একদিনে সমলোচনার ঝড়, অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন। ব্যাকফুটে পড়ে আদিত্যনাথ সরকার সিট গঠন করেছে। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্টও দেবে সিট। ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে সেই মামলার শুনানি হবে। ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন যোগী। কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই। কেন এতদিন লেগে গেল সিট গঠন করতে? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কেন নীরব আদিত্যনাথ? আগুনে ঘি ঢেলেছে নির্যাতিতার মায়ের বয়ান। তিনি বলছেন, চোখের দেখা দেখতে না দিয়ে জোর করে পুলিশ দেহ দাহ করে দিয়েছে।