হাথরস কাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। প্রতিবাদের আগুন নিভতে না নিভতেই ফের গণধর্ষণের বিহারে। গতকাল এর জেরে বিহারের গয়া জেলায় আত্মহত্যা করেছে এক দলিত কিশোরী। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই, চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। মেয়ের সঙ্গে হওয়া সব অন্যায়ের বিচার চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সবের আগেই আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী। পরিবারের অভিযোগ লাঞ্চনা-অপমান এসব সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছে তাদের মেয়ে।
প্রসঙ্গত, গতকাল ২০১৯ সালের ভিত্তিতে দেশে মহিলাদের উপর নানা ধরনের হওয়া অত্যাচার সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)। এনসিবি-র রিপোর্ট অনুসারে এদেশে প্রতি ১৬ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। প্রতি ২ ঘণ্টায় কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। প্রতি ৩০ ঘণ্টায় একজন মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় এই দেশে। বাকি পরিসংখ্যানগুলো আরও ভয়ঙ্কর। এই রিপোর্টের সব পরিসংখ্যান দেখে আঁতকে উঠছেন সকলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা-মা জানিয়েছেন, রাহুল কুমার, চিন্টু কুমার এবং চন্দন কুমার এই তিন ব্যক্তি তাঁদের মেয়ে গণধর্ষণ করেছে। চতুর্থ ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউই। চার অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে গয়া পুলিশ। মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে কথা বলা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, গয়া মেডিক্যাল কলেজে ওই নির্যাতিতা কিশোরীর ময়নাতদন্ত হয়েছে। যদিও এখনও রিপোর্ট হাতে আসা বাকি রয়েছে।