নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই মৃত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে ঘুঁটি করে বিহারে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছিল বিজেপি। সেখানে প্রয়াত অভিনেতাকে নিয়ে গেরুয়া শিবির স্লোগান তুলেছিল, ‘না ভুলে হ্যায়, না ভুলনে দেঙ্গে’। যা দেখে সেসময়ই কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার সুশান্ত ইস্যুতে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন, না তাঁকে হত্যা করা হয়েছে? মুম্বই পুলিশ নিজের মতো করে তদন্ত করছিল। আচমকাই সিবিআইকে তদন্তভার দিয়ে দেওয়া হল। এবার সিবিআইয়ের উচিত দ্রুত আমাদের তদন্তের ফলাফল জানানো।’ তাঁর দাবি, দেশের মানুষ সুশান্তের মৃত্যুরহস্যের দ্রুত কিনারা চান।
প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যু তদন্ত নিয়ে মহারাষ্ট্র ও বিহার সরকারের মধ্যে বাদানুবাদের পর গত আগস্টের শেষদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। অনিলের দাবি, তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরে দেড় মাস কেটে গিয়েছে। এবার সিবিআইয়ের উচিত এ বিষয়ে মুখ খোলা। সুশান্তের পরিবারের তরফে তদন্তের ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরে এই সপ্তাহের গোড়াতে সিবিআইয়ের মুখপাত্র আরকে গৌর জানিয়ে দেন, প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে নেমে সিবিআই সব রকম সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
গত ১৪ জুন মারা যান সুশান্ত। প্রাথমিক ভাবে তাঁর মৃত্যুতদন্তের ভার ছিল মুম্বই পুলিশের উপর। তারা জানিয়ে দেয়, আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। কিন্তু তাদের তদন্তে খুশি হয়নি প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। পরে সুশান্তের বাবা কেকে রাজপুত রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সুশান্তকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে রিয়ার পরিবার। এরপর তদন্তের কিনারা করতে বিহার পুলিশের একটি দল মুম্বই আসে। সেই সময়ই তদন্ত নিয়ে দুই রাজ্যের সরকারের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়। পরে আগস্টে তদন্তভার ন্যস্ত হয় সিবিআইয়ের ওপরে।