খেতাব ধরে রাখার দৌড়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তিনটি ম্যাচ খেলে রোহিত শর্মার দল এখন অবধি জিতেছে মাত্র একটিতে। আর সেই কারণে অশনিসংকেত দেখছেন মুম্বইয়ের সমর্থকরা। চারবারের চ্যাম্পিয়নরা বৃহস্পতিবার ফের মাঠে নামছে। মরুশহর আবুধাবিতে রোহিত বাহিনীর প্রতিপক্ষ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। লোকেশ রাহুলের দলের অবস্থাও ভালো নয়। তিনটি ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র একটিতে। গত ম্যাচে রাজস্থানের সামনে ২২৪ রানের টার্গেট খাড়া করেও জিততে পারেনি পাঞ্জাব, যা জোর ধাক্কা দিয়েছে ক্রিকেটারদের মনোবলে।
মুম্বইয়ের বোলিংয়েও লাসিথ মালিঙ্গার অভাব স্পষ্ট অনুভূত হচ্ছে। ট্রেন্ট বোল্ট আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। বুমরাহও ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরছেন। কিন্তু চাপের মুখে মালিঙ্গার মতো ম্যাচ জেতানো বোলার দরকার। স্পিন বিভাগে রাহুল চাহার ও ক্রুনাল পান্ডিয়া খুবই সাধারণ মানের বোলিং করছেন।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। ওপেনিং জুটিতে লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল যথেষ্ট সফল। দু’জনেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হল, পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা আস্থা রাখতে পারছেন না। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কিংবা নিকোলাস পুরান মিডল অর্ডারে নির্ভরতা জোগাতে ব্যর্থ। তাই শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে পাঞ্জাব চাপে পড়ে যাবে।
পাঞ্জাবের বোলিংও আহামরি নয়। মহম্মদ সামির সঙ্গে দ্বিতীয় স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে খেলানো হচ্ছে শেল্ডন কটরেলকে। কিন্তু গত ম্যাচে এই ক্যারিবিয়ান পেসারের এক ওভারেই তেওয়াটিয়া পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে রাজস্থানকে জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন। স্পিন বিভাগে রবি বিষ্ণোই ও মুরুগান অশ্বিনের বলে বৈচিত্র্য থাকলেও তাঁরা মার খাচ্ছেন অভিজ্ঞতার অভাবে। মুম্বইয়ের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হলে পাঞ্জাবকে টিম গেম মেলে ধরতে হবে।