১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়েছিল বাবরি মসজিদ। প্রায় তিন দশক পর আজ বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায়দান করে আজ সিবিআই বিশেষ আদালত জানিয়ে দিল, মসজিদ ভেঙেছিল ‘দুষ্কৃতীরা’, অভিযুক্তরা উন্মত্তদের থামাতে গিয়েও ব্যর্থ হন। পাশাপাশি মসজিদ ভাঙার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের ষড়যন্ত্র ছিল এমনটাও সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকে প্রমাণ হয় না।
প্রসঙ্গত, বাবরি মামলায় ৩২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং করসেবকদের উস্কানি দিয়েছিলেন। অভিযোগ ছিল, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি ভাঙার সময়ে মসজিদ চত্বরে তৈরি মঞ্চে ছিলেন আদবানি, যোশী, উমা ভারতীরা। তদন্ত জানানো হয় মঞ্চ থেকে করসেবকদের উত্তেজিত করেছিলেন বিজেপি নেতারা। ঘটনায় সময় উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ছিল কল্যাণ সিং সরকার। বাবরি ধ্বংসের পর কল্যাণ সিং সরকারকে বরখাস্ত করা হয়। বাবরি ধ্বংসের পর দেশজুড়ে হওয়া হিংসায় ৩০০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেম নিজের বয়ান রেকর্ড করেন আদবানি। সেখানে তাঁকে ১০০ প্রশ্ন করেন সিবিআই বিচারক। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আদবানি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সশরীরে হাজিরার পরিবর্তে ভিডিও কনফারেন্সে আদালতের কাজে যোগ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে করসেবকদের হাতে বাবরি ধ্বংসের পর প্রথমিকভাবে ২টি মামলা হয়। পরে মামলার সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৯। প্রাথমিক দুটি মামলার দ্বিতীয়টিতে আডবানি, যোশী ও উমা ভারতীয় নাম করা হয়। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন বিষ্ণুহরি ডালমিয়া, অশোক সিঙ্ঘল, গিরিরাজ সিং,স্বাধ্বী ঋতম্ভরা, বিনয় কাটিযার। ১৯৯৩ সালে বাবরি ধ্বংসের প্রথম চার্চশিট দেয় সিবিআই। সেই চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় নাম ছিল ৪৮ জনের। তালিকায় ছিল বাল ঠাকরে, কল্যাণ সিংয়ের নামও। অভিযুক্তদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।