সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তবে এই বিলকে কেন্দ্র করে কৃষক ও বিরোধীদের মধ্যে আন্দোলন জারি রয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ দেশের একাধিক জায়গায় জোর কদমে চলছে কৃষক বিক্ষোভ। কোমর বেঁধে রাস্তায় নেমে পড়েছে কংগ্রেস-সহ প্রায় সব বিরোধী দলই। এনডিএর একাধিক শরিকও এই বিলের বিরোধী। এবার অমৃতসরে কৃষি বিলের প্রতিবাদে একটানা ‘রেল রোকো’ অভিযানে সামিল কৃষকরা। বুধবার কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি সাত দিনে পড়ল। দেবীদাসপুরে রেল লাইনে বসে কৃষি বিলের প্রতিবাদে কেন্দ্র-বিরোধিতায় সরব কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লী, রাজস্থান, বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে কৃষি বিলের প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভে সামিল কৃষকরা। কৃষি বিল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই পথে নেমে কৃষি বিলের প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন হাজার-হাজার কৃষক। অমৃতসরেও কেন্দ্র-বিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপক আকার নিয়েছে। কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্যরা দেবীদাসপুরা গ্রামে রেললাইনে বসে কেন্দ্র-বিরোধী স্লোগান তুলেছেন। একটানা সাতদিন ধরে ‘রেল রোকো’ অভিযানে সামিল কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটি।
বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, কেন্দ্রের এই নয়া কৃষি বিল কৃষক-স্বার্থ বিরোধী। এমএসপি বেঁধে দিক কেন্দ্র, দাবিতে সরব বিজেপি বিরোধীরা। যদিও এখনও পর্যন্ত বিরোধীদের সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়ার ব্যাপারে কোনওরকম চিন্তাভাবনার পথে হাঁটছে না মোদী সরকার। এমনকী বিলে সই না করার আবেদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে বহুদিনের জোটসঙ্গী শিরোমণি আকালি দল। মোদী মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন আকালি দলের মন্ত্রীও। বিরোধীদের অভিযোগ, কৃষকদের সর্বসান্ত করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিল আসলে কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানাই।