৯০ দশকের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এই দৃশ্য অতিপরিচিত। সাউথ আফ্রিকার ছিপছিপে চেহারার এক ক্রিকেটার কখনও উড়ে গিয়ে ক্যাচ ধরছেন। আবার কখনও ঝাঁপিয়ে পড়ে রান বাঁচাচ্ছেন। খেলোয়াড় জীবনে ফিল্ডিংকে একদম শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা ক্রিকেটার। নাম জন্টি রোডস। ১৯৯২ বিশ্বকাপে শরীর ছুড়ে ইনজামাম উল হকের উইকেট ভেঙে রান আউট করেছিলেন। শচীন তেন্ডুলকরের ক্যাচ ধরেছিলেন পাখি হয়ে। রবিবার শারজায় টাইমমেশিনের সাহায্য ছাড়াই জন্টির স্মৃতি ফিরিয়ে দিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের নিকোলাস পুরান।
রাজস্থানের ইনিংসের ৭.৩ ওভারের ঘটনা। পাঞ্জাবের বোলার মুরুগান অশ্বিনের বলটা একটু শর্ট ছিল। সঞ্জু সপাটে পুল মারেন। নিশ্চিত ছক্কা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে বাউন্ডারি লাইনে শরীর ছুড়ে সঞ্জুকে তালুবন্দিও করে ফেলেন পুরান। মুহূর্তের মধ্যে পুরান বুঝতে পারেন তাঁর শরীর বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গিয়েছে। উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে শূন্যে ভেসে থাকা অবস্থাতেই পুরান বল ছুড়ে দেন মাঠের ভিতরে। সেই যাত্রায় ছক্কা বাঁচিয়ে দেন পুরান। এরকম দুরন্ত ফিল্ডিং সচরাচর দেখা যায় না। যা দেখে রীতিমত হতবাক ক্রিকেটবিশ্ব।
পাকেচক্রে সেই জন্টি রোডস-ই এখন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ফিল্ডিং কোচ। তাঁর তত্ত্বাবধানেই নিজেদের আরও ধারালো করছেন নিকোলাস পুরানরা। তাই সেই দুরন্ত ফিল্ডিং দেখে চেয়ারে বসে থাকতে পারেননি জন্টি রোডসও। পুরানের ফিল্ডিং দেখে চেয়ার ছুড়ে উঠে পড়েন তিনি। পুরানের প্রচেষ্টাকে হাততালি দিয়ে সম্মান জানান। শচীন তেন্ডুলকরও দুরন্ত ফিল্ডিং দেখে টুইট করে জানান, এমন রান বাঁচানো এর আগে তিনি দেখেননি। নিকোলাসকে দেখে জন্টির কথাও মনে পড়েছে বলে জানান স্বয়ং ক্রিকেট ঈশ্বর।