একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতা দখলের খোয়াব দেখছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকাশ্যে আসছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ, নেতা-কর্মীদের চাপা অসন্তোষ। এবার যেমন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিল খোদ বারুইপুরে বিজেপির জেলা অফিসে। রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতাদের সামনেই চলল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারধর, বচসা। করা হল চেয়ার ভাঙচুর। এমনকী, বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার গাড়ি রাস্তায় আটকে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। রবিবার বিকালের পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির জেলা সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্তের অভিযোগ, ১১ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন কর্মীর অবস্থা গুরতর। মহিলাদেরও সম্মানহানি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল থেকেই বিজেপির বৈঠক চলছিল। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতারা। সভাতে মাস্ক ছাড়াই আসেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। রাহুল সিনহা সম্পর্কে তিনি বলেন, একবার চায়ের আড্ডা হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিকালে কেন্দ্রীয় সম্পাদক বেরিয়ে যেতেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত্র। দুই গোষ্ঠী একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। চলে মারধর। জেলা সভাপতি হরিকৃষ্ণর অভিযোগ, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ দত্ত ও মণ্ডল সভাপতি দেবোপম চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। আহত বিজেপি কর্মীদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে গড়িয়ার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ দত্ত অভিযোগ করে বলেন, বিজেপির জেলা সভাপতি সমান্তরাল সংগঠন চালাচ্ছেন। ৪৫ জন মণ্ডল সভাপতিকে ডাকা হয়নি সভায়।