বিহার ভোটের ঢাকে কাঠি পড়েছে। শাসক-বিরোধী দু’শিবিরেই তৎপরতা তুঙ্গে। সেই তৎপরতায় নয়া মাত্রা যোগ করল বিহারর সদ্য প্রাক্তন ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে-নীতীশ কুমারের সাক্ষাৎ। শনিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গুপ্তেশ্বর। যদিও একে নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন ডিজিপি।
শুক্রবারই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে থেকেই এই ভোটকে ঘিরে উত্তাপ বাড়ছিল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই নির্বাচনের বড় ইস্যু হতে চলেছে বিহারের ঘরের ছেলে তথা বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্য। সেই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বিহারের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর। আচমকাই স্বেচ্ছাবসর নেন তিনি। এমনকী, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। অবসর নেওয়ার পরই শনিবার নীতীশের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। দুজনের মধ্যে বেশকিছুক্ষণ কথাও হয়। যদিও এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন গুপ্তেশ্বর। তাঁর কথায়, ‘এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। নীতীশজিকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছিলাম। কর্মজীবনে আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছেন উনি। এখনও ভোটে দাঁড়ানোর কোনও সিদ্ধান্ত নিই নি।’ যদিও সে কথা মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।
সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় বিহারের ডিজিপির একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে বহু জলঘোলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এই গুপ্তেশ্বর পাণ্ডের নেতৃত্বেই বিহার পুলিশের একটা দল একপ্রকার জোর করে মুম্বই গিয়ে এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এমনকী, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন এই গুপ্তেশ্বর। বিহার নির্বাচনে অন্যতম বড় ইস্যু যে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্য, তা বারবারই প্রমাণিত হয়েছে। ফলে বিহার নির্বাচনের উত্তাপে পুড়ছে মহারাষ্ট্রও। এদিন এ বিষয়টিকে কটাক্ষ করে শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য, ‘বিহার ভোটে ইস্যুর অভাব হলে মহারাষ্ট্র থেকে পার্সেল করে পাঠিয়ে দেব।’