চেন্নাইয়ের গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতা মার্কিন সংস্থার রিসেপশনিস্ট কাম সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে গত এক বছর ধরে করে যাচ্ছে যন্ত্রমানবী মারিয়া। এবার সেই যন্ত্রমানবীর যমজ বোনকে দেখা যাবে কলকাতায়, দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে। শনিবার ঠাকুরপুকুরের এস বি পার্ক সর্বজনীনের পুজোর মাঠে হাজির সেই রোবট।
এস বি পার্ক পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় মজুমদারের কথায়, “করোনা আবহে মানুষ ছোঁয়াছুঁয়ি বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। এই সময় রোবট এনে আমরা ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।” সঞ্জয়বাবুর দাবি, কলকাতা তথা বাংলা তথা ভারতেও কখনও কোথাও যন্ত্রমানবী পুজোর উদ্বোধন করেনি। সেই হিসাবে এস বি পার্ক ইতিহাস গড়ল।
যাঁর তত্ত্বাবধানে ২০১৯ সালে মারিয়ার জন্ম তার নাম অঙ্কুশ ঘোষ। অঙ্কুশবাবু জানাচ্ছেন, ভূমিষ্ঠ হয়েই মারিয়া চেন্নাই পাড়ি দেয়। সেখানে মার্কিন সংস্থা ওয়েবকো-র অফিসে রিসেপশনিস্ট কাম সিকিউরিটি গার্ডের কাজ শুরু করে। এখনও সেই পদেই বহাল। মারিয়া বিদায় নেওয়ার পর অঙ্কুশবাবুরা মারিয়ার ‘যমজ’ তৈরি করেন। তার নামও রাখা হয় মারিয়া। অর্থাৎ, মাল্টিপল অ্যাপ্লিকেশনস রোবটিক ইন্টেলিজেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।
জানা গেছে, এবার দুর্গাপুজোর বোধন ২২ অক্টোবর। পুজোর ক’দিন লালপেড়ে শাড়িতে চার ফুট উচ্চতার এই যন্ত্রমানবীকে এস বি পার্কের পুজোয় দেখা যাবে। আগত দর্শনার্থীদের হাতে সে তুলে দেবে স্যানিটাইজারের পাউচ প্যাক।
কমিটির সম্পাদক সঞ্জয়বাবুর বক্তব্য, “কলকাতা তথা বাংলা যে বিজ্ঞানে এখনও দেশকে পথ দেখাচ্ছে, তার বড় উদাহরণ মারিয়া। এই অগ্রগতিকে তুলে ধরতেই আমরা মারিয়াকে পুজোর মুখ করেছি।” পাশাপাশি যন্ত্রমানবীর নামকরণের নেপথ্য কাহিনি জানিয়ে অঙ্কুশবাবু বলেন, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা এআই ব্যবহার করে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই রোবট তৈরি করা হয়েছে।