সুশান্ত-মৃত্যুর তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে কেউটের মতো বেরিয়ে পড়েছে বলিউডের ড্রাগপর্ব। যা নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা দেশ। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ড্রাগ, গাঁজা নিয়ে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এখন সংবাদ শিরোনামে। এমনই এক পরিস্থিতিতে চোরাকারবারিদের থেকে বাজেয়াপ্ত করা ১৬০ কেজি গাঁজার অধিকাংশটাই বিক্রি করে দিলেন চার পুলিশকর্মী! যে সে পুলিশ নয়, একেবারে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ দিল্লী পুলিশে কর্মরত ওই চারজন। যদিও বিষয়টি সামনে আসতেই তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের।
দিল্লী পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লীর জাহাঙ্গীরপুরী এলাকার একটি ঘর থেকে প্রায় ১৬০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই ‘অপারেশনে’ ছিলেন একজন সাব ইনস্পেক্টর-সহ জাহাঙ্গীরপুরী থানার চার পুলিশকর্মী। একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ওই ঘটনায় আটকও করা হয়। এরপরই শুরু হয় আসল ‘খেলা’। অভিযোগ, অনিল নামে ওই মাদক কারবারিকে পুলিশ চৌকিতে আটকে রেখে তার বাড়ির লোকেদের ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে অভিযুক্ত ওই চার পুলিশকর্মী অনিলের পরিবারকে বলেন, দেড় লক্ষ টাকা দিলেই ছেড়ে দেওয়া হবে ওই মাদক কারবারিকে। পুলিশের কথামতো সেই টাকাও দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ওই মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অথচ ১৬০ কিলো গাঁজার পরিবর্তে সরকারি খাতায় মাত্র ৯২০ গ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়।
দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ১৫৯ কেজি গাঁজাও অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রিও করে দেন ওই চার পুলিশকর্মী। গাঁজা বিক্রির টাকাও নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোঁয়ারা করে নেন তাঁরা। তবে দিন কয়েকের মধ্যেই নয়াদিল্লীর সহকারী পুলিশ কমিশনার বিজয়ন্তা আর্য্যর কাছে গোপন সূত্রে ওই খবর পৌঁছায়। শুরু হয় ওই চার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত। জেরা করা হয় ওই মাদক ব্যবসায়ী অনিলকেও। তার কাছ থেকে সমস্ত বিষয়টি জেনে নেন তদন্তকারীরা। পাওয়া যায় আরও বেশকিছু প্রমাণ। এরপরই চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। তবে ইতিমধ্যেই খবরটি চাউর হয়ে যেতে মুখ পুড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের।