রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৫তম সাধারণ সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন যে গত ৭০ বছরে বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের ‘গৌরব’ তুলে ধরার মতো বিষয়গুলি হল সন্ত্রাসবাদ, জনজাতির নির্মূলিকরণ, মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত এবং গোপন পারমাণবিক বাণিজ্য।
সভায় ভিডিও বিবৃতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ভারতের নিন্দা শুরু করেন। আগেভাগেই রেকর্ড করে রাখা সেই ভিডিওতে ফের ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলান। তখনই প্রতিবাদ জানিয়ে ভার্চুয়াল সভা থেকে ওয়াক আউট করে ভারত। এরপর ভারতের তরফে পাকিস্তানের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
মিজিতো ভিনিতো বলেন, ‘এই সভাকক্ষকে এমন এক ব্যক্তির ভুলভাল বক্তব্য শুনতে হল যার নিজের কিছুই প্রদর্শন করার মতো নেই, যার কোনও সাফল্য নেই যেটা নিয়ে কথা বলবেন এবং কোনও যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ নেই যা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবেন। তার বদলে আমরা দেখতে পাচ্ছ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভুয়ো তথ্য, যুদ্ধ-মনোভাবের মতো বিষয় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এই সভাকক্ষে।’
দেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এই রেকর্ডের তীব্র নিন্দা করে ভিনিতো বলেন, ‘গত ৭০ বছরে এই দেশের বিশ্বকে বলার মতো গৌরব হল সন্ত্রাসবাদ, জনজাতির নিমূলীকরণ, মৌলবাদের বাড়বাড়ন্ত ও গোপনে পারমাণবিক বাণিজ্য।’ এই দেশটিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ বৃহত্তর সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই দেশেই সন্ত্রাসের মূল চক্রী লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার বহাল তবিয়তে রয়েছে। এটা সেই একই দেশ যারা রাষ্ট্রীয় তহবিলের বাইরে ভয়ঙ্কর ও কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করেছে। আমরা আজ যে নেতার ভাষণ শুনলাম তিনি জুলাইতে পাকিস্তানের সংসদে ওসামা বিন লাদেনদে শহিদ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।’