ভারতের বেহাল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণেই করোনা রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। অবিলম্বে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হবে। শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় দৈনিক আয়োজিত গ্লোবাল বিজনেস সামিটে একথা বলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি ডি সাচস।
মার্কিন অর্থনীতিবিদের কথায়, ‘ভারত নানা বিধিনিষেধ শিথিল করে দিচ্ছে। অর্থনীতি যাতে চাঙ্গা হয়ে ওঠে, সেজন্যই কড়াকড়ি রদ করা হচ্ছে। কিন্তু অতিমহামারী নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সেই উদ্দেশ্য সফল হবে কিনা সন্দেহ আছে।’ সাচসের বক্তব্য, ‘পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে তার পরিণাম হবে ভয়ংকর। এখনও ভারতে মৃত্যুহার খুব বেশি নয়। কিন্তু আচমকা যদি সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যায়, তাহলে মৃত্যুহারও বাড়বে বহুগুণ। তখন ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’
ভারতে করোনা সংক্রমণ ৫৭ লাখের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। করোনা অ্যাকটিভ কেসও বাড়ছে ভারতে। পরিসংখ্যান মাফিক কোভিড অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছুঁতে চলেছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ে সাচস বলেন, ‘বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ খরচ করতে আগ্রহী নয়। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। সাপ্লাই চেন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলেই অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি মনে করেন, ভারতের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা তেমন কার্যকরী নয়। তাই অতিমহামারী দূর করা যাচ্ছে না। সরকার যতই চাক, অর্থনীতিও চাঙ্গা হচ্ছে না।