‘গায়ের জোরে কৃষক স্বার্থের পরিপন্থী কৃষি বিল পাস করিয়েছে কেন্দ্র। হিটলারি কায়দায় দেশ চলছে। যেভাবে কৃষি বিল আনা হয়েছে তাতে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে।’ সোমবার নবান্নে এভাবেই কেন্দ্রের কৃষি বিলকে নিশান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার রাজ্যসভায় পাস হয়েছে কৃষি বিল। ওই বিলের প্রতিবাদে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, রিপুন বর-সহ একাধিক বিরোধী সাংসদ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৮ বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন ডেরেক ও’ব্রায়েন ও দোলা সেন, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, কংগ্রেসের রাজীব সাতাব, রিপুন বোরা ও সৈয়দ নাসির হুসেন এবং সিপিএম-এর কে কে রাগেশ ও এলামারাম করিম সংসদ ভবনের সামনের লনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন।
সাংসদদের সাসপেনশনের কড়া নিন্দা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মানুষ খেতে না পেলে তৃণমূল আন্দোলন করবেই। বিরোধীরা যা করেছে তা ঠিক করেছে। ওরা কৃষকদের স্বার্থে লড়েছে। ওদের জন্য গর্ব বোধ করি। গতকাল দেশের ইতিহাসে ব্ল্যাক সানডে।’
কেন্দ্রকে ঠুকে মমতা বলেন, ‘দেশে করোনা মহামারী ঠেকাতে পারেনি সরকার। এখন আর একটা বিপদ ডেকে আনছে এই কৃষি বিলের মাধ্যমে। দেশের মানুষ ছিছি করছে। আলু, পেঁয়াজ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। অন্য রাজ্যে আলুর অভাব হলে আমরা তা এখান থেকে পাঠাতাম। কৃষি বিল পাস হলে চাষিরা দাম পাবে না। তা চলে যাবে আড়তদারদের হাতে। কৃষক স্বার্থের বিরুদ্ধে গতকাল যা করা হয়েছে তার নিন্দা করছি।’
কৃষি বিলের পাশাপাশি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন কোড সংশোধনী নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও কারখানায় তিনশো জন কর্মী থাকলে তাদের ছাঁটাই করার অধিকার থাকবে মালিকের। কেন এমন আইন! এতো শ্রমিকদের ওপরে বজ্রাঘাত! সবাইকে এর প্রতিবাদে সামিল হতে অনুরোধ করছি।’