আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে তাঁরা তিন বার ফাইনালে পৌঁছেছে। কিন্তু একবারও ট্রফি আসেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ড্রেসিংরুমে। তাই এবার ট্রফি তুলতে মরিয়া দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ম্যাচের আগের দিনই দলীয় বৈঠকে তিনি বলে দিয়েছেন, এটাই যেন শেষ সুযোগ ভেবে সবাই মাঠে নামে। যদিও তা বলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে চাননি। করোনা যোদ্ধাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আরসিবি শিবিরে ট্রফি দেখতে চান অধিনায়ক।
করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে এবছর নিজেদের জার্সির পিছনে বিশেষ বার্তা দিয়েছে আরসিবি। এই অতিমারির মধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিজের গ্লাভস ও ব্যাটও নিলাম করেছেন বিরাট। এ বার তাঁদের জন্যই প্রথম আইপিএল ট্রফি জিততে চান। ম্যাচের আগের দিন সতীর্থদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভাল ফিল্ডিং করেই ম্যাচ বার করতে হবে। একটা সুযোগ নষ্ট মানে, সেটা আর ফিরে আসবে না।
গত ২ দিনের অনুশীলনে তাই সারা দিন ফিল্ডিং করেই কাটাতে হয় ক্রিস মরিস, ডেল স্টেন, এবি ডেভিলিয়ার্সদের। শেষের দিকে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে ফিরে যান হোটেলে। আজ দুবাইয়ে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এ বারের যাত্রা শুরু হচ্ছে কোহালিদের। ডেভিড ওয়ার্নারের দলের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ১৩বার মুখোমুখি হয়েছে আরসিবি। আটবার জিতেছে হায়দ্রাবাদ। সাত বার বিরাটরা। যদিও সব পরিসংখ্যানকে ভুল প্রমাণিত করে দিতে পারে আইপিএল। এই মঞ্চ যেমন তরুণদের ফুটে ওঠার সুযোগ দেয়, তেমনই নিভতে থাকা প্রতিভাকেও জ্বলে উঠতে সাহায্য করে।
সোমবারের ম্যাচে দেখা যেতে পারে কোহলি বনাম রশিদ খানের দ্বৈরথও। রবিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে হায়দ্রাবাদের তারকা লেগস্পিনার রশিদ বলেছেন, ‘‘কোহলির মতো বড় মাপের ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করাটা আমি উপভোগ করি। ও যে বিশ্বের অন্যতম সেরা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। জানি, সেরা বল না করলে ওকে আউট করা যাবে না।’’ রশিদ এও বলে গেলেন, ‘‘কোহলিও অনেক দিন পরে মাঠে নামছে। দেখা যাক, আগের ছন্দই ধরে রাখতে পারে কি না।’’