ভারতে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এক মাসের বেশি সময় ধরে আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে প্রথম স্থানে ভারত। দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়লেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি রাজ্যেই সংক্রমণ বাড়ছে। বাকি রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর মধ্যেই ভারতে করোনা সংক্রমণ শিখর ছুঁয়েছে কিনা, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ঘণ্টার বেশি সময় সবার সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সেখানেই তাঁকে বারবার প্রশ্ন করা হয়, ভারতে করোনা সংক্রমণ কি শিখর ছুঁয়েছে? গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে? সেই প্রশ্ন এড়িয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের কয়েকটি রাজ্যেই সংক্রমণ বাড়ছে। তাই এক এক জায়গায় এক এক রকমের ছবি চোখে পড়ছে।
হর্ষবর্ধন বলেন, ‘কয়েকটি জেলায় সংক্রমণ অনেকটা বেড়েছে। কেবল ১০টি রাজ্যেই দেশের মোট আক্রান্তের ৭৭ শতাংশ রোগী রয়েছে। যদি আপনারা রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যান দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন, কিছু জেলাতেই সংক্রমণ সীমাবদ্ধ রয়েছে। গ্রামীণ ও শহরকেন্দ্রিক জনসংখ্যার ক্ষেত্রে ছবিটা আলাদা দেখা যাচ্ছে।’
সম্প্রতি দিল্লীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন দাবি করেছেন, এবার কেন্দ্রের স্বীকার করে নেওয়া উচিত যে ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। জুন মাসে নিজেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘আমাদের মেনে নেওয়া উচিত, দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আমার মনে হয় আমরা কিছু যান্ত্রিক নামের মধ্যে আটকে রয়েছি। কিন্তু একমাত্র ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ কিংবা কেন্দ্র সরকারেরই এই বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার রয়েছে।’