সোপিয়ানে গত ১৮ জুলাই এক এনকাউন্টারে ৩ জঙ্গী খতম হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জওয়ানরা। কিন্তু তারপর জওয়ানদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে কারণ, এনকাউন্টারের নামে জঙ্গি নয়, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে সেনা। এই ঘটনার পর তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট এনকাউন্টারে থাকা জওয়ানদের অভিযুক্ত বলে মেনে নিয়েছে সেনা। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতদের পরিবার অভিযোগ করে, যে তিনজনকে এনকাউটারে মারা হয়েছে তারা তুতো ভাই। তারা শ্রমিকের কাজ করত। তারা জঙ্গি নয় বলেই দাবি করা হয়। তারপরেই সেনাবাহিনীর তরফে একটি তদন্ত কমিটি বসানো হয়। তাতে দেখা যায় আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা এএফএসপিএ এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা অনুমোদিত চিফ অফ আর্মি স্টাফের নির্দেশিকার অবমাননা করেছেন ওই জওয়ানরা।
সেনার তরফে এক মুখপাত্র জানান, “অপারেশন আমশিপোড়া নিয়ে যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা শেষ হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে অপারেশন চলাকালীন ১৯৯০ সালের আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট অবমাননা করেছেন জওয়ানরা। সেই কারণেই তদন্তের পরে সেনার ডিসিপ্লিনারি কমিটি আর্মি অ্যাক্টের অধীনে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।”
গত ১৮ জুলাই এনকাউন্টারের পর তিন জঙ্গীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় শুরু হয় বিতর্ক। নিহতদের পরিবার তাদের চিহ্নিত করে দাবি করে তারা তিন ভাই। ১৭ জুলাই সোপিয়ানের চৌগাম গ্রামের ভাড়া বাড়ি থেকে তারা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করে পরিবার। তারা আরও দাবি করে, ১৭ বছরের ইব্রার, ২৫ বছরের ইমতিয়াজ ও ২০ বছরের আব্রার আহমেদ পেশায় শ্রমিক। তারা রাজৌরির সাকরি গ্রাম থেকে সেখানে কাজের জন্য গিয়েছিল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জম্মু- কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহও।