কিছুদিন আগেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিহারের জন্য একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেছিলেন, ‘আমাদের গর্ব, নরেন্দ্র দত্ত (স্বামী বিবেকানন্দ) নরেন্দ্র মোদীর আত্মায় প্রবেশ করেছেন। ভারত একবিংশ শতাব্দীর অগ্রণী দেশ হয়ে ওঠার চৌকাঠে।’ এবার ফের এক বন্ধনীতে উচ্চারিত হল বিবেকানন্দ এবং মোদীর নাম। শুক্রবার বিহারের জন্য আরও একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণার অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলে বসলেন, এক নরেন্দ্র (দত্ত) যে একবিংশ শতকের ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা পূরণ করছেন আর এক নরেন্দ্র (মোদী)।
সামনেই বিহারে বিধানসভা ভোট। তাই ভোটমুখী বিহারের জন্য কোশী রেল মহাসেতু-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ভিডিয়ো-অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তৃতায় মোদীর উদ্দেশে রাই বলেন, ‘উন্নয়নের গঙ্গাকে সকলের জীবনে পৌঁছনোয় আপনি ভগীরথ।… বিবেকানন্দের বিদেশ যাত্রার সময়ে কেউ এক জন তাঁকে ক্ষুধার্ত, দুর্বল দেশের সন্ন্যাসী বলেছিলেন। তখন বিবেকানন্দের জবাব ছিল, একবিংশ শতকের যে ভারত তিনি দেখতে পাচ্ছেন, সেখানে কেউ অনাহারে থাকবে না। কেউ দুর্বল কেউ গৃহহীন কিংবা অশিক্ষিতও থাকবে না। আমরা জানি বিবেকানন্দের ছোটবেলার নাম নরেন্দ্র। এক নরেন্দ্র ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আর এক নরেন্দ্র তা পূরণ করছেন।’
এখানেই না থেমে বিশ্বে ভারতের প্রথম সারির দেশ হয়ে ওঠার যে স্বপ্ন স্বামীজি দেখতেন, মোদীর নেতৃত্বে ভারত সে দিকে পা বাড়াচ্ছে বলেও দাবি করেন রাই। শুধু তাই নয়। ভারত-সহ হ সারা দুনিয়া মোদীর ‘একই অঙ্গে কত রূপ’ প্রত্যক্ষ করছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ‘গরিবের মসিহা’, ‘করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে পথ প্রদর্শক’, ‘দেশের চৌকিদার’, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ রদে দৃঢ়সঙ্কল্প নেতা’, ‘লাদাখ-লে-তে সেনার সামনে শৌর্যের প্রতিমূর্তি’ আবার ‘অযোধ্যায় রামলালার সামনে সাষ্টাঙ্গ প্রণামে ভক্তি ভাবে চূর’- বর্ণনা অফুরান। স্বাভাবিক ভাবেই বিবেকানন্দের সঙ্গে মোদীকে এক আসনে বসানোর এই প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করছে সব মহলই।