মোট আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে করোনা আক্রান্ত দেশগুলির তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তারপরেও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। আজও যেমন ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। চিন্তা বাড়িয়ে সংক্রমণ হারও ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯৩ হাজার ৩৩৭ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৯ হাজার ২৯৯ ও ৩৯ হাজার ৭৯৭ জন। আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতের দৈনিক সংক্রমণ অনেক বেশি। গত দেড় মাস ধরে এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ৯৩ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৫৩ লক্ষ ৮ হাজার ১৪ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১০.৫৮ শতাংশ।
কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু— দু’টি তালিকাতেই শুরু থেকে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ১১ লক্ষ ৬৭ হাজার।দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ৬ লক্ষ পেরিয়েছে। তামিলনাড়ুতে মোট ৫ লক্ষ ৩০ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্ণাটকে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ পেরলো। উত্তরপ্রদেশেও সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ৪২ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লীতে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার। তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যাতে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ও বিহারে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার পার করেছে। আসামে দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্ত। গুজরাত, কেরালা, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশে মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ছাড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে দিন দিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪৭ জনের। যার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫ হাজার ৬১৯ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ৩১ হাজার ৭৯১ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যু সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্ণাটকে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার ৮০৮ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের রাজধানীতে মোট মৃত ৪ হাজার ৯০৭। তবে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটা স্বস্তিদায়ক। এখনও পর্যন্ত মোট ৪২ লক্ষ ৮ হাজার ৪৩১ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৯৫ হাজার ৮৮০ জন।