একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ফের রাজ্যজুড়ে খুনের রাজনীতি শুরু বিজেপির। এবার মাথাভাঙায় খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে তাঁর দাদা-বৌদিও জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গণেশ সরকার (৪০)। তিনি এলাকায় দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত।
মাথাভাঙার হাজরাহাটের বালাসি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন গণেশবাবু। প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী গণেশবাবুর বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর নাম ধরে ডাকাডাকি করায় বেরিয়ে আসেন তিনি। তখন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় তাঁকে। চিৎকার শুনে ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে যান তাঁর দাদা বিমল সরকার ও বৌদি মমতা। তখন তাঁদের ওপরেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই গণেশ মারা যান। বাকি দুজনের অবস্থাও গুরুতর। তাঁদের আর্তচিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। বিমল ও তাঁর স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত। জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের অভিযোগ, ‘খুন জখম করে এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। গণেশবাবু দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। তাঁর উপর বারবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তিনি কিছুতেই দল না ছাড়ায় পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। গণেশবাবুর দাদা-বৌদির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা পরিবারটির পাশে রয়েছি।’