টেনিস জগতের দুই শ্রেষ্ঠ তারকা রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল ছিলেন না। অন্যদিকে, টুর্নামেন্ট চলাকালীন মহিলা লাইন জাজকে বল দিয়ে আঘাত করে বহিষ্কৃত হওয়ায় বাদ পড়েছিলেন নোভাক জোকোভিচও। ফলে, এবছর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতার দারুণ সুযোগ এসে গিয়েছিল তরুণদের সামনে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতে নিলেন অস্ট্রিয়ার দমিনিক থিম। নাটকীয় ফাইনালে থিম দুই সেটে পিছিয়ে পড়েও দারুণ ভাবে ফিরে এসে ২-৬, ৪-৬, ৬-৪, ৬-৩, ৭-৬ (৮-৬)-এ হারালেন জার্মানির আলেকজান্ডার জেরেভকে।
এর আগে তিন-তিন বার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছিলেন থিম। আর তিন বারই খেতাব জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে ফরাসি ওপেন ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পরে এ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল থিমের। এমনকি এবার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালের শুরুটাও ভাল হয়নি অস্ট্রিয়ার তারকার। প্রথম দুটো সেট জিতে নেন বরিস বেকারের দেশের জেরেভ।
ম্যাচে থিম ক্রমশ পিছিয়ে পড়ায় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এবারও তাঁকে খালি হাতেই ফিরতে হবে। কিন্তু অন্য কিছু বোধহয় ভেবেছিলেন থিম। এর পর আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়াম দেখল এক অন্য থিমকে। মরিয়া লড়াই করে ম্যাচে ফিরে আসেন তিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ সেট থিম জেতায় ম্যাচ গড়ায় পঞ্চম সেটে। সেখানেও দুই তরুণের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এই থিম উইনার মারেন তো পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়ান জেরেভ। চার ঘন্টার ফাইনাল এক অন্য মাত্রায় পৌঁছয়। শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক শক্তি কাজে লাগিয়ে শেষ হাসি হাসেন থিম।
চতুর্থ বারের ফাইনালে আর তিনি ট্রফি জয় থেকে বঞ্চিত হননি। একইসঙ্গে ইতিহাসকেও ছুঁলেন থিম। তাঁর আগে পিছিয়ে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতার নজির আছে মাত্র একবারই। প্যাঞ্চো গঞ্জালেজ ১৯৪৯ সালে পিছিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। অন্যদিকে, ২০১৪ সালের পরে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনও পেল নতুন এক চ্যাম্পিয়নকে। ছ’বছর আগে এখানে খেতাব জিতেছিলেন মারিন চিলিচ।
