১৯ সেপ্টেম্বর এ বারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। দুই দলের অধিনায়কই এই টি-২০ প্রতিযোগিতায় অত্যন্ত সফল। পরিসংখ্যান ছাড়াও কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া নজর কেড়েছে আইপিএলের বিগত মরশুমগুলিতে। কিন্তু এ বারের আট অধিনায়ককের মধ্যে পরিসংখ্যানের বিচারে সফলতম কে?
ক্যাপ্টেন কুল’ আইপিএলের প্রথম সিজন থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে যে মুন্সিয়ানার পরিচয় তিনি দেখিয়েছেন, তা আইপিএলেও পুরোদমে বজায় রয়েছে।
আইপিএল অধিনায়কদের কথা এলে এর পরই আসবে রোহিত শর্মার নাম। ২০১৩-তে সিজনের মাঝ পথেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দায়িত্ব ছেড়ে দেন রিকি পন্টিং। তার পর মুম্বইয়ের দায়িত্ব আসে ‘হিট ম্যান’-এর কাঁধে।
অধিনায়ক হিসাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সব থেকে বেশি, চার বার (২০১৩, ’১৫, ’১৭, ’১৯) আইপিএল ট্রফির স্বাদ দিয়েছেন। ১০৪ ম্যাচে মুম্বইয়ের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। জিতেছেন ৫৭.৭ শতাংশ ম্যাচে। আইপিএলের সমস্ত সিজন মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। পরিসংখ্যানের বাইরে বেরিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে অধিনায়ক রোহিতের।
২০১৮ থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দায়িত্ব রয়েছে দীনেশ কার্তিকের হাতে। ২০১৮তে তৃতীয় স্থানে আইপিএল যাত্রা শেষ করেছিল নাইটরা। একটুর জন্য হাত ছাড়া হয়েছিল ফাইনালে খেলার সুযোগ।
২০২০ আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের দায়িত্ব স্টিভ স্মিথের কাঁধে। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান এর আগে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগে ২৯টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। জিতেছেন ৬৫ শতাংশ ম্যাচ। অর্থাৎ জয়ের শতাংশের দিক থেকে তিনিই সফলতম অধিনায়ক।
আইপিএল অধিনায়কদের নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে বসলে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির নাম অবধারিত ভাবেই আসে। আইপিএলে তিনি এখনও অবধি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কিন্তু ব্যাট হাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে তিনি যতটা সফল, অধিনায়ক হিসাবে কী ততটা সফল নন।
২০১৮-র থেকেই দিল্লীর ডেয়াডেভিলসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রেয়স আইয়ার। ২০১৯-এ এই তরুণ নেতার অধীনে সেমিফাইনাল খেলেছিল দিল্লী। সৌরভ ও পন্টিংয়ের তত্ত্বাবধানে থেকে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছেন দিল্লীর তরুণরা।