এক সপ্তাহ বাদেই শুরু হতে চলেছে সংসদ। সেখানে কী কী রণকৌশল নেবে কংগ্রেস, তা নিয়ে মঙ্গলবার ‘স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ’-এর এক বিশেষ ভার্চুয়াল মিটিং ডাকেন দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেখানে ঠিক হয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া হবে সমমনোভাবাপন্ন বিরোধীদের। প্রথম ধাপ হিসাবে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে এনডিএ-র বিরুদ্ধে দলমত তৈরি করে প্রার্থী দেওয়া হবে। এজন্য অধিবেশন শুরুর আগেই ডাকা হবে বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সপ্তাহ দুয়েক আগে নেতৃত্বে বদলের দাবি চেয়ে চিঠি দেওয়া গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, মণীশ তেওয়ারিরা। সূত্রের খবর, প্রত্যেকেই বৈঠক নিয়ে বেশ খুশি।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন। এই মুহূর্তে রাজ্যসভার যা শক্তি তাতে বিজেপি মনোনীত এনডিএ প্রার্থীর জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বিজেপি সূত্রের খবর, নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সাংসদ হরিবংশ নারায়ণ সিংকে ফের ওই পদের জন্য প্রার্থী করা হবে। ২০১৮ সালে তিনি নির্বাচিত হন ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে। কিন্তু এর মধ্যে তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নির্বাচনে যেতে হয়। হরিবংশ আবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাই তিনিই ফের প্রার্থী হবেন। তাঁর বিরুদ্ধে হার নিশ্চিত জেনেও প্রার্থী দিতে চায় কংগ্রেস। আসলে সোনিয়া গান্ধী চাইছেন এই ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হোক। তাতে বিরোধী ঐক্যের ছবিটা তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর জোটসঙ্গী ডিএমকেকে এই পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ দেবেন সোনিয়া। আসলে তামিলনাড়ুর ভোটের আগে ডিএমকেকে আরও খানিকটা কাছে টানার পরিকল্পনা করছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সোনিয়া এক ঢিলে দুই পাখি মারার ছক কষছেন।
এদিনও সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন রাহুল। একদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র সরকারের ‘ব্যর্থতা’। অন্যদিক এলআইসি-র আংশিক বিলগ্নিকরণ। জোড়া প্রসঙ্গে সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।