করোনার আবহে এবার কোপ পড়ল মধ্যবিত্তের সঞ্চয়তেও। ফের সুদের হার কমাল ইপিএফও।
বুধবার কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বোর্ডের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত ৮.১৫ শতাংশ করে পিএফে সুদ দেওয়া হবে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সুদের হার নির্ধারিত ছিল ৮.৫০ শতাংশ। অর্থাৎ সুদের হার কমানো হল ০.৩৫ শতাংশ।
এই ০.৩৫ শতাংশ সুদের কী হবে? সূত্রের খবর, গ্রাহকরা ওই সুদ থেকে বঞ্চিত হবেন না। ওই সুদ ডিসেম্বরের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে বৈঠকে কথা হয়েছে। ডিসেম্বরের পর থেকে পুরনো হারেই সুদ পাবেন গ্রাহকরা।
এনিয়ে এআইটিইউসি সেক্রেটারি সুকুমার দামলে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন পূর্বনির্ধারিত সুদই (৮.৫০ শতাংশ) দেবে ইপিএফও। তবে আপাতত দেওয়া হবে ৮.১৫ শতাংশ সুদ। বাকি ০.৩৫ শতাংশ দিয়ে দেওয়া হবে ডিসেম্বরের মধ্যে।’
মার্চে ২০১৯-২০ সালের জন্য ৮.৫ শতাংশ ইপিএফ-এ সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বোর্ড। এটি সাত বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম সুদের হার। তার আগের বছর ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়েছে।
মার্চে ইপিএফও ভেবেছিল ডিভিডেন্ড ও ইটিএফ বেচে ৩.৫ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা মিলবে। সূত্রের খবর, এখন নভেম্বর বা ডিসেম্বরে এগুলি বেচা হবে। কিন্তু তখনও বাজারের অবস্থা খারাপ থাকলে কী হবে, সেটা কেউ জানে না।