বিতর্কিত এবং হিংসাত্বক মন্তব্য করতে গোটা দেশেই বিজেপি নেতাদের জুড়ি মেলা ভার। যোগী আদিত্যনাথ, সাধ্বী প্রজ্ঞাদের মতো দেশের হেভিওয়েট বিজেপি নেতানেত্রীদের পরম্পরা বাংলায় বজায় রেখেছেন দিলীপ ঘোষ, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। এদিন ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। জামুড়িয়ার মতো আসানসোল থেকেও পুলিশকে দিয়ে পা চাটাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। একইসঙ্গে হুমকি দিলেন পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও। পাশাপাশি আক্রমণ করলেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
শুক্রবার আসানসোলের বিএনআরে রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিজেপির জেলা কমিটির ডাকে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসানসোল যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই, রাজ্য যুবমোর্চার সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, এসএন লাম্বা, সুব্রত মিশ্র ও আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলররা। সেখান থেকেই রাজ্যের শাসকদল, রাজ্য সরকার ও পুলিশকে আক্রমন করেন রাজ্য বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আমরা বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চলেছি। তখন রাজ্যের পুলিশকে দিয়ে আমাদের জুতো চাটাব।”
এর পাশাপাশি আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “আসানসোলের মেয়র একজন মাফিয়া। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করুক। তাহলে বুঝব পুলিশের হিম্মত আছে। আমরা আর ৬ মাস পরে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছি।” এদিন রাজ্য সরকারের আক্রমণ করে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই খনি এলাকা থেকে অবৈধভাবে কয়লার পাচার হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও পুলিশের একাংশ এর পিছনে রয়েছে।”
এদিন পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও হুমকি দেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ক্ষমতায় এলে পুলিশের ছেলেদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের বিতর্কের ঝড় বইতে শুরু করেছে আসানসোলে। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “বিজেপি নেতা কর্মীদের বিদ্যেবুদ্ধি নেই। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব, ওদের শুভবুদ্ধি হোক। তবে ওরা যেভাবে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছে, তার বদলা বিধানসভায় রাজ্যের সাধারণ মানুষই নেবে ওদের হারিয়ে।”