বেলঘরিয়ার বেশ উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান রক্ষিত মিত্তল। চলতি বছর নিট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তাঁর। তবে মঙ্গলবার রাতে হল ছন্দপতন। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। সঙ্গে ছিল স্কুটি ও হেলমেট। খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরবে বলেও জানান। তবে রাত বাড়লেও আর বাড়ি ফেরেননি রক্ষিত। দুদিন পর ছেলে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসায় স্বস্তিতে পরিবার।
রক্ষিত জানিয়েছেন, অতিরিক্ত চাপের থেকেই মানসিক অবসাদ চলে আসছিল তার। সে কারণেই ঘর ছেড়েছিলেন। পড়াশোনার প্রবল চাপ। নিজের জন্য একমুহূর্ত সময়ও ছিল না। ফলে অবসাদ গ্রাস করেছিল বেলঘরিয়ার নিখোঁজ নিট পরীক্ষার্থীকে।
মোবাইল টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী শেষ দত্তপুকুর এলাকায় রক্ষিত ছিলেন বলেই জানায় পুলিশ। তবে তারপর থেকে সুইচড অফ হয়ে যায় মোবাইল। বেলঘরিয়ার আলমবাজার মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী সেখানে তাঁকে পুজো দিতেও দেখা যায়। তবে তারপর তিনি স্কুটি নিয়ে কোথায় গেলেন তা জানা যায়নি। পরের দিন বেলডাঙায় মেলে ওই পরীক্ষার্থীর স্কুটি ও হেলমেট।
এরপর আরও ধোয়াশা সৃষ্টি হয়। পুলিশের তল্লাশিও চলে। কিন্তু এর মধ্যেই আজ সকালে রক্ষিত তাঁর বাবাকে ফোন করার পর জানা যায় আসল সত্যি।
এদিন বহরমপুর থেকে বাসে কলকাতায় আসেন তিনি। শহরে পৌঁছেই বাবাকে ফোন করেন তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। ফিরে জানান, পড়ার চাপ আর নিতে পারছিলেন না। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। সেই কারণেই কিছুটা সময় একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেকারণেই ঘর ছেড়েছিলেন এই ছাত্র।