গত ২৬ মার্চ থেকেই করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন। টবর আগের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে ফের অধিবেশন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দু’দিন করে স্বল্পকালীন অধিবেশন বসবে বলেই জানানো হয়েছে। আর এই অধিবেশনের আগে প্রত্যেকের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হবে বলেই এদিন জানালেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিমানবাবু সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, আপাতত আগামী সপ্তাহে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর হবে অধিবেশন। তার আগে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এইমুহূর্তে বিধানসভা চত্বর স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। অধিবেশনে ঢোকার আগে প্রত্যেক সদস্য, কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের আধিকারিকদের সবাইকেই করোনা টেস্ট করাতে হবে।
এর পাশাপাশি বিমানবাবু জানিয়েছেন, আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর এই টেস্টের দিন ঠিক করা হয়েছে। বিমানবন্দরের মূল ফটকে করা হবে এই টেস্টের ব্যবস্থা। ৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা ও ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হবে এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। আধ ঘণ্টার মধ্যে টেস্টের রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে। যাঁরা নেগেটিভ হবেন, তাঁরাই শুধুমাত্র বিধানসভার ভেতরে ঢোকার অনুমতি পাবেন। আর যাঁদের রেজাল্ট নেগেটিভ আসবে না, তাঁদের সেখানে উপস্থিত থাকা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, বিধানসভার অন্দরে অধিবেশনের সময় যাতে বিধায়কদের মধ্যে সামাজিক দূরত্বও বজায় থাকে, সেদিকেও আলাদা করে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক ভাবে বয়স্ক বিধায়কদের বিধানসভার নীচের তলায় ও অল্প বয়স্ক বিধায়কদের উপরের তলায় বসতে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সবাইকে এই সময় অধিবেশনে থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র কয়েকজনকেই সেই অনুমতি দেওয়া হবে।