নোটবন্দী নিয়ে পাশা খেলেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। চার বছর পর তার কুফল মিলছে। জিডিপি-র পতন নিয়ে এভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী।
টুইটারে ভিডিও বার্তায় রাহুলের তোপ, নোটবন্দীর দু’টি লক্ষ্য ছিল সরকারের – অসংগঠিত ক্ষেত্রকে ধ্বংস করা এবং সেই টাকায় শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করা। এর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে একজোট হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেস সাংসদের তোপ, ‘২০১৬ সালে যে ঘুঁটি ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল, ২০২০-তে তার ভয়ঙ্কর ফল সামনে এসেছে।’
এ দিন রাহুলের মূল নিশানা ছিল নোটবন্দী। গরিব, কৃষক, দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা অসংগঠিত ক্ষেত্রের উপর আক্রমণ ছিল বলে মন্তব্য করে নোটবন্দীর ইতিহাস সম্পর্কে দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কী ভাবে ২০১৬সালের ৮ নভেম্বর রাত ৮টায় রাতারাতি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল এবং তার জেরে ব্যাঙ্কের সামনে দীর্ঘ লাইন, নগদের অভাবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। এর পর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কালো টাকা কোথায় গেল? কোনও উত্তর নেই। দ্বিতীয় প্রশ্ন, নোটবন্দীতে দেশের গরিব মানুষদের কী লাভ হল? উত্তর, কিছুই না।’
তা হলে ফায়দা কাদের হল? রাহুলের জবাব, ‘সুবিধা পেয়েছেন কোটিপতিরা। আপনাদের ঘর থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা এই সব শিল্পপতির ধার মকুব করানোর কাজে লাগিয়েছে সরকার।’ রাহুলের আরও অভিযোগ, আরও একটি সুপ্ত লক্ষ্য ছিল সরকারের – অসংগঠিত ক্ষেত্রকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা। রাহুলের যুক্তি, ‘আমাদের অসংগঠিত অর্থনৈতিক ক্ষেত্র নগদের উপর চলে। ছোট দোকানদার, শ্রমিক, ক্ষেতমজুর – সবাই নগদ টাকায় কাজকর্ম করেন।’ নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন ক্যাশলেস ভারত চান। ক্যাশলেস ভারত হলে এই অসংগঠিত ক্ষেত্র তো পুরো ধ্বংস হয়ে যাবে। এই ক্ষেত্র তো নগদ ছাড়া চলেই না। লোকসান কার হল? সেই ছোট দোকানদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের।’