আমেরিকায় বর্ণবাদ বিরোধী তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই উড়ো চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকি পেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয়রা। দ্রুত আমেরিকা না ছাড়লে, ফল ভালো হবে না। নির্দয় ভাবে গুলি করে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই একই চিঠিতে চীনাদের উদ্দেশ্যেও হুমকি রয়েছে।
টেক্সাসের উড়ো এই চিঠির নীচে যদিও কারও স্বাক্ষর নেই। কিন্তু, হুমকি চিঠির খবর সেখানকার ভারতীয় ও চীনামহলে রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা আতঙ্কিত বোধ করতে শুরু করেছেন। এই হুমকিকে সবাই গুরুত্ব না দিলেও সেখানকার অনাবাসীদের অনেকেই কিন্তু ভীত। তাঁরা টেক্সাসের ইরিভিং পুলিশ বিভাগের শরণাপন্ন হয়েছেন। পুলিশ যদিও এই ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হিসেবেই দেখছেন।
কিন্ত, তার পরেও যাঁদের হাতে উড়ো এই চিঠিটি গিয়েছে, তাঁরা কিন্তু স্বস্তিতে নেই। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে মার্কিনমুলুকে বেশ কয়েক জন ভারতীয়ের ‘অস্বাভাবিক মৃত্য’ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। সবক’টির যে কিনারা হয়েছে, তা-ও নয়।
ভারতীয় ও চীনাদের উপর মার্কিন এই বিদ্বেষের কারণ অবশ্যই চাকরি। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতীয় ও চীনাদের কারণে তাঁরা আমেরিকায় চাকরি পাচ্ছেন না। এই দুই দেশ থেকে লোকজন এসে, তাঁদের রুজিতে ভাগ বসাচ্ছেন। আইটি সেক্টর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরি এঁরাই করছেন। আর তাঁরা আমেরিকার নাগরিক হয়েও একটা চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্বভাবতই ভারত ও চীন থেকে তথ্যপ্রযুক্তির চাকরি করতে যাওয়া ছেলেমেয়েদের উপরেই এদের রাগ বাড়ছে। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নয়, জীবিকার অন্যান্য ক্ষেত্রেও মার্কিনিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমে সঙ্কুচিত হওয়ায়, যাবতীয় বিদ্বেষের কেন্দ্রে এখন ভারত-চীন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আর দেরি না করে, এ বার দেশ ছাড়ো। এর পর কথা না শুনলে নির্দয় ভাবে গুলি করে মারা ছাড়া উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে হোক, খেলার মাঠে হোক বা পুলে এমনকী গোষ্ঠীর মধ্যে ঢুকেও গুলি করব।’ সোমবার টেক্সাসের ইরিভিং পুলিশ বিভাগ উড়ো চিঠিটি বাজেয়াপ্ত করেছে।