দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে জাতীয় সুরক্ষা আইন(এনএসএ) পাশের সময়ই বিরোধীদের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে অপব্যবহার হতে পারে এই আইনের। তবে ক্ষমতাবলে আইন পাসের পাশাপাশি তা ইতিমধ্যেই খাতায়-কলমে কাজও শুরু করে দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ, এনআরসির প্রতিবাদ করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের ডাক্তার কাফিল খান। জামিন পেলেও এনএসএ ফাঁদে আটকা পড়েছিলেন তিনি। অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁর গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে ঘোষণা করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আর তারপরই মাঝরাতে মথুরা জেল থেকে ছাড়া পান ডাঃ কাফিল খান।
যদিও জেল থেকে ছাড়া পেয়েও আশ্বস্ত হতে পারছেন না তিনি। তাঁর আশঙ্কা, ফের একবার তাঁকে নতুন কোনও মামলায় ফাঁসাবে যোগী সরকার। তিনি বলেন, যারা আমার হয়ে প্রতিবাদ করেছেন, আমার শুভকামনা করেছেন, তাদের সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। প্রশাসন এখনও আমায় মুক্তি দিতে তৈরি ছিল না, কিন্তু আপনাদের সকলের প্রার্থনার জন্যই আমি আজ মুক্ত। রামায়ণে মহর্ষি বাল্মীকি বলেছিলেন রাজার রাজধর্ম পালন করা উচিত। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের রাজা রাজধর্ম পালন করছেন না, তিনি শিশুর মতো জেদী।ভাগ্যিস এনকাউন্টারে মারেনি। তবে আবার হয়তো নতুন কোনও কেসে আমায় ফাঁসানো হবে।