বছরের শুরু থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা মহামারি। ভারতেও এই করোনার পাশাপাশি একের পর এক বিঘ্ন ঘটেই চলেছে। ইতিমধ্যেই আসামে ২ বার বন্যা হয়েছে। এরপর মধ্যপ্রদেশ এবং উড়িষ্যাতেও বন্যা হয়েছিল। আর এবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতের তিনটি জেলায়। ৯ হাজারের বেশি লোককে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। গত তিন দিনের টানা বৃষ্টির প্রভাবে নর্মদা নদীতে জলের মাত্রা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভারুচ, ভদোদরা এবং নর্মদা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার বৃষ্টির তীব্রতা কমলেও শনিবার, রবিবার, সোমবার- এই তিন দিনের লাগাতার বর্ষণে গুজরাতে বন্যায় ইতিমধ্যেই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ইন্দিরা সাগর বাঁধ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ার ফলে নর্মদা নদীর সর্দার সরোবর বাঁধেও জলের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাঁধের ক্ষেত্রে জলের মাত্রার বিপদসীমা ১৩৮.৬৮ মিটার। আর এখন সেখানে জল রয়েছে ১৩৩মিটারে।
নর্মদা নদীতে ক্রমশ জলের মাত্রা বাড়তে থাকায় সংলগ্ন তিনটি নিম্ন এলাকা যেমন ভারুচ, ভদোদরা এবং নর্মদা এই জেলাগুলোয় প্রচুর পরিমাণ জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। মোট ৪৯টি গ্রাম থেকে ৯৭৯৪ জন লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত ভারী বৃষ্টি কমেছে গুজরাতে। তবে গতকালও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে গুজরাতের বিভিন্ন জেলায়।
গুজরাত প্রশাসন এদিন জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে নর্মদা নদীতে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। আগে ইন্দিরা সাগর বাঁধ থেকে ১১.৪০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল নর্মদা নদীতে। তবে এখন ৭.৪০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। অন্যদিকে, মৌসম ভবন জানিয়েছে যেহেতু সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান পরিবর্তন করছে এবং বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের প্রভাব রয়েছে তাই সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে ভূ-খণ্ডে। এর জেরেই উত্তর, মধ্য, উটির-পূর্ব, পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম, পশ্চিম ও দক্ষিণাত্যের একাধিক জেলায় চলতি সপ্তাহে ভালোই বৃষ্টি হবে।