আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে কোভিড-১৯ টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। ২৮ আগস্ট, শুক্রবার, এই মর্মে নির্দেশ দিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধ— বাদল অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য প্রত্যেককেই এই নির্দেশ মেনে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। শুধু সাংসদরাই নন, ঘোষিত সময়ের মধ্যে তাঁদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যদেরও কোভিড-১৯ টেস্ট বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেন স্পিকার। সাংসদদের যাঁর স্টাফ, তাঁদেরও এই নির্দেশ মানতে হবে। এর পরেও অধিবেশন চলাকালীন যে কোনও সময় যে কোনও সাংসদের কোভিড টেস্ট করা হবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার ওম বিড়লা।
প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের প্রস্তুতি পর্যালোচনায় শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, আইসিএমআর, এইমস, ডিআরডিও, দিল্লি সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্পিকার ওম বিড়লা। করোনা সংকটে কীভাবে সুরক্ষিত উপায়ে বাদল অধিবেশনের আয়োজন করা যায়, মূলত তা নিয়েই আলোচনা চলে। বৈঠকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাসেন্সেস-এর ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লুভ আগরওয়াল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর বলরাম ভার্গব উপস্থিত ছিলেন। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এর প্রতিনিধিরাও এই পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দেন। ছিলেন দিল্লী সরকারের কয়েক জন প্রতিনিধি ও আধিকারিকেরা।
এই বৈঠকের পর স্পিকার জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড বিধি মেনেই সংসদকক্ষে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে। বিড়লা আরও জানান, অধিবেশন চলাকালীন স্পর্শ ছাড়াই (জিরো টাচ) যাতে সিকিওরিটি চেক করা যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় এলোপাথাড়ি করোনা পরীক্ষাও করা হতে পারে। উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই বাদল অধিবেশন। সূত্রের খবর, সকাল এবং সন্ধে— দু’টি শিফটে হবে অধিবেশন। করোনার কথা মাথায় রেখে আরও কিছু বিধিনিষেধও আরোপ হতে পারে। সাংসদদের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রকের আমলা, সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যমের কর্মী যাঁরাই সংসদ চত্বরে ওই সময় প্রবেশ করবেন, সকলেরই করোনা পরীক্ষা করানো হবে।