সাল ২০০৭। সেবছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় ভারত। ছন্দহীন তরুণ উইকেটকিপার মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সেসময় রীতিমত সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন। বাড়িতে পর্যন্ত হামলা হয়েছিল তাঁর। আর তারপর সেবছরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর নেতৃত্বেই ভারতীয় দল গেল টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে। আর সেখানে প্রথম বৈঠকেই বীরেন্দ্র সেওয়াগ, ইরফান পাঠান, শ্রীসন্থদের মন জয় করে নিলেন নতুন অধিনায়ক।
কী বলেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? সেই দলের অন্যতম প্রধান তারকা, অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান বললেন, ‘‘প্রথম বৈঠকেই ধোনি বলে দিয়েছিল, অধিনায়ক একা আমি নই, অধিনায়ক প্রত্যেকে। সবাই নিজেদের দায়িত্ব ঠিক ভাবে সামলালে, আমাদের হারানো খুব কঠিন। তবে যেহেতু খাতায় কলমে আমি অধিনায়ক, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার আমার সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ো তোমরা। অধিনায়কের এমন বক্তব্য আমরা কেউই আশা করিনি। সেওয়াগ আর আমি পুরো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর সহবাগ নতুন অধিনায়ককে অভিনন্দনও জানিয়েছিল।’’
বিপর্যয়ের পরে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে গোটা দলের মনেই উদ্বেগ ছিল। কিন্তু তা প্রথম বৈঠকেই দূর করে দিয়েছিলেন ধোনি। সেই টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ছিলেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্থও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মুহূর্তের অন্যতম কারিগর। মিসবা-উল-হকের ক্যাচ নিয়ে বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত করেন তিনি। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। কাকে বল দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে দলের কয়েক জনের সঙ্গেও কথা বলেন ধোনি। শ্রীসন্থের মতে, “মাহিভাই সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, দল সবার। সুতরাং, অধিনায়ক সবাই।”