সমস্ত জল্পনার অবসান। এক মাসের দীর্ঘ দড়ি টানাটানির খেলা শেষ হল রাজস্থানে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরে ফের কাজে যোগ দিতে প্রস্তুত শচীন পাইলট। ফলে ১৪ আগস্ট থেকে রাজস্থানের বিধানসভা অধিবেশন নির্বিঘ্নেই হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বাসভবনে শচীন সোমবার দীর্ঘ দু’ঘণ্টা কথাবার্তা চালান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, ‘এই মিটিং খোলামেলা এবং ফলপ্রসূ হয়েছে।’ তার পরেই জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘একটি তিন সদস্যের কমিটি তৈরি হবে যারা শচীন-সহ অন্য বিক্ষুব্ধ এমএলএ-দের কথাবার্তা শুনবে এবং একটা সমাধান সূত্র বের করে আনবে।’ একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, শচীন পাইলট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘তিনি কংগ্রেসের হয় এবং রাজস্থান সরকারের হয়ে কাজ করবেন।’
এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজওয়ালা বলেন, রাজস্থানের রাজনৈতিক সংকট মিটতে চলেছে রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে। এর থেকে বোঝা যায় কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ ঐক্য কতটা। একই সঙ্গে প্রকট কংগ্রেসের সভ্যরা অত সহজে বিজেপির শিকার হবে না।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন শচীনও। তিনি বলেন, ‘সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ সমস্ত কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে বিচারের আশ্বাসের জন্য। আমি আমার বিশ্বাসে অনড়। গণতন্ত্র রক্ষার্থে কংগ্রেসের হয়ে রাজস্থানের মানুষের জন্য কাজ করব। কাজ করব নতুন ভারতের জন্য।’
জুলাই মাসের শুরুতে রাজস্থানে অশোক গেহলটকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহ শুরু করেন শচীন। তাঁর অভিযোগ ছিল রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ থেকে সরার পর থেকেই তাঁকে কোনঠাসা করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। পাশাপাশি আত্মসম্মান নিয়েও টানাটানি চলছে। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হলে তাতে জল ঢেলে দেন তিনি।