আনলক পর্বে গত দু’মাসে তিরুমালা-তিরুপতি দেবস্থানমের প্রায় সাড়ে সাতশো কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এমনটাই জানালেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শৄঙ্খল ভাঙতে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ। বন্ধ হয়েছিল তিরপতির এই মন্দিরের দরজাও। প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১১ জুন ফের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দির। তার পর থেকেই সংক্রমণ শুরু হয় মন্দিরের কর্মীদের মধ্যে। দর্শন চালুর পাশাপাশি ‘ডায়াল ইওর এগজিকিউটিভ অফিসার’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছিল মন্দির কর্তৄপক্ষ। নির্দিষ্ট নম্বরে ডায়াল করে টিটিডি-র চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন ভক্তরা। সেই রকম একটি কথোপকথনের সময়েই এই তথ্য উঠে এসেছে।’
টিটিডি-র চিফ এগজিকিউটিভ অনিলকুমার সিংহল জানিয়েছেন, ১১ জুন মন্দির খোলার পর থেকে এখনও পর্য়ন্ত মোট ৭৪৩ জন কর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে অবশ্য ৪০২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ৩৩৮ জনের চিকিৎসা চলছে টিটিডির তিনটি রেস্ট হাউস শ্রীনিবাসম, বিষ্ণুনিবাসম এবং মাধবম-এ। এই তিনটি রেস্ট হাউসকেই কোভিড সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। আর আক্রান্তদের মধ্যে তিন জনের মৄত্যু হয়েছে। অনিলকুমার সিংহল বলেছেন, ‘ভাইরাস সংক্রমণে তিন জন কর্মীর মৄত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের জন্য করোনা কেন্দ্রে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
লকডাউনের পর জুন মাসে মন্দির খোলার সময়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্যই অবিবেচকের মতো মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছিল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সরব হয়েছিলেন। ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। বাস্তবেও কার্যত তাই হয়েছে। মন্দিরের দরজা খোলার পর থেকেই আক্রান্ত হতে থাকেন কর্মী-পুরোহিতরা। যদিও সিইও দাবি করেছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড গাইডলাইন মেনেই খোলা হয়েছিল মন্দির এবং ব্যবস্থাপনাও সেই ভাবেই করা হয়েছিল।