আগামী ১৪ আগস্ট রাজস্থানে বিধানসভা অধিবেশন। আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। শচীন পাইলট বনাম রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের মর্যাদার লড়াই দেখার জন্যই মুখিয়ে সকলে। কিন্তু সবার অলক্ষ্যেই আর এক রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের চেষ্টা শুরু হয়েছে। ১০ আগস্ট তারিখে একদিনের বিধানসভা অধিবেশনে মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে।
মণিপুরের এন বিরেন সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার কথা জানিয়ে মণিপুর কংগ্রেস কমিটির সভাপতি মইরাংথেম ওকেন্দ্রা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই অনাস্থা বিষয়ক প্রস্তাব আমাদের তরফ থেকে জমা দেওয়া হয়েছে। ১০ আগস্ট দলের সমস্ত বিধায়ককে সম্পূর্ণ অধিবেশন থাকার কথা জানিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে মণিপুর কংগ্রেস কমিটির চিফ হুইপ গোবিন্দদাস কোনথউজাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘’তিন লাইনের নির্দেশ সম্বলিত নোটিশে কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ককেই বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।‘’ গত ২৭ জুলাই কংগ্রেসের ২৪ জন বিধায়ককেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে এদিন জানান চিফ হুইপ।
প্রসঙ্গত, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতোই মণিপুরেও কংগ্রেস বিধায়কদের দলবদলের গল্প অব্যাহত রয়েছে। গত রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ওকরাম হেনরি এবং আর কে ইমো বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই দুই বিধায়ককে শোকজ নোটিশ ধরানো হলেও, সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দিল্লী নিয়ে যান। তবে সেখানে গিয়ে তাঁরা কাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তা এখনও রহস্যই রয়ে গিয়েছে।
এরপর অবশ্য নানা রকম সম্ভাবনার খেলা চলতে থাকে এই রাজ্যে। কংগ্রেসের এক বিধায়ক বিজেপি’তে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হয়ে যান আবার অন্যদিকে ৩ জন বিজেপি বিধায়কও আবার পদত্যাগ করেন। কিছু বিধায়ক দলত্যাগ আইনের আওতায় সদস্যপদ খোয়ানোর মুখে রয়েছেন। এই অবস্থায় প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন তার সঙ্গে ২৪ জন বিধায়ক রয়েছে। আপাতত কাটাকুটি করে অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, মণিপুরে এইমুহূর্তে বিজেপি’র হাতে রয়েছেন ১৮ জন বিধায়ক। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন এবং বিজেপি’র আশা জোটসঙ্গী দলের বিধায়ক সহ অন্যান্য দলের বিধায়করা বর্তমান সরকারকে সমর্থন করবেন। বিজেপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাদের সঙ্গে ২৯ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে ফলে অনস্থা ভোটে তারাই জয়ী হবে। কিন্তু, আদতে কি হবে তা জানার জন্য এখন সবার নজর থাকবে ১০ আগস্টের দিকেই।