রাজস্থানের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ইতি পড়েনি। সচিন পাইলট-অশোক গেহলট তরজা এখন তুঙ্গে। প্রতিমুহূর্তেই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনের সন্দেহ করছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে যেভাবে বিজেপি সরকার গঠন করেছে সেই একই পন্থা রাজস্থানের ক্ষেত্রে অবলম্বন করা হচ্ছে, এমনই আশঙ্কা হাত শিবিরের। আর তাই এই মুহূর্তে নিজেদের বিধায়কদের নিয়ে আত্মগোপন করে রয়েছেন রাজস্থানের গেহলট। অন্যদিকে, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী নেতা পাইলট-সহ সকল ‘বিদ্রোহী’ বিধায়করাও হরিয়ানায় রয়েছেন। ১৫ আগস্টের পর রাজস্থানের বিধানসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে আস্থাভোটের মাধ্যমে শক্তিপরীক্ষা হবে। তার আগে প্রস্তুতি চালাচ্ছে দু’পক্ষই। এর মধ্যেই এক কংগ্রেস বিধায়ক জানালেন পাইলট যা মনে করছেন, তার থেকে অনেক বেশি বিধায়কের সমর্থন তাঁর সঙ্গে রয়েছে।
নিজেকে গেহলট শিবিরের বিধায়ক দাবি করে প্রশান্ত বৈরওয়া নামের এক বিধায়ক জানান, ৪০ থেকে ৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে পাইলটের দিকে। এক সময় তাঁকে পাইলট শিবিরের বিধায়ক বলা হত। কিন্তু বর্তমানে গেহলট শিবিরে রয়েছেন তিনি। জয়সলমীরের সূর্যগড় হোটেল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বেরিয়ে আসেন প্রশান্ত। তখনই এই মন্তব্য করেন এমন কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘সচিন পাইলটের বড় স্বপ্ন রয়েছে। কিন্তু তিনি জানেন না আসল ছবিটা কী। যদি উনি প্রথমে আমাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতেন, আমাদের মতামত নিতেন, তাহলে তাঁর সমর্থনে সংখ্যাটা ৪০ থেকে ৪৫ হত, ১৯ হত না। কারণ ৪০ থেকে ৪৫ জনের সমর্থন রয়েছে পাইলটের দিকে। কিন্তু উনি আমাদের থেকে কোনও মতামত নেননি। আমার মনে হয় এখানে খেলাটা পিছন থেকে অন্য কেউ খেলছে।’
অবশ্য ৪০ থেকে ৪৫ জনের সমর্থন থাকার মানে এই নয় আস্থাভোটের সময় তাঁরা পাইলটকে সমর্থন করবেন। প্রশান্ত জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেসে অনেকেই তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী থাকতে পারেন, কিন্তু তার মানে এই নয় তাঁরা কংগ্রেসের হয়ে ভোট দেবেন না। আমরা কংগ্রেসের দিকেই ১০০ শতাংশ ভোট দেব। আস্থাভোটে কংগ্রেসই জিতবে।’ রাজস্থানে এই অবস্থার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, সেখানে নোংরা খেলা খেলছে বিজেপি। তারা টাকা দিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে। আর এই খেলায় পাইলটকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।