আর্থিক সমস্যা মিটিয়ে এবার ঘুরে দাঁড়াল আইএসএলের নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় উড়িষ্যা এফসি’ও আইএসএলে খেলার মতো রসদ সংগ্রহ করেছে। আর্থিক মন্দার কারণে দেশের অধিকাংশ বড় কোম্পানিতেই এবার স্বস্তি নেই। এই কারণেই জামশেদপুর এফসিও খুব ভেবেচিন্তে দল গড়ছে। পরিচিত ভারতীয় ফুটবলারদের নিতে চাইছে না তারা। বরং ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পছন্দ টিএফএ’র উঠতি খেলোয়াড়রা। তাই সুব্রত পালের মতো তারকাকে রাখার ব্যাপারেও জামশেদপুর উৎসাহ দেখায়নি। সূত্রের খবর, হায়দ্রাবাদ এফসি’র আর্থিক সঙ্কটও মিটে যাবে দিন দশেকের মধ্যেই।
এই নিয়ে গতকাল এফএসডিএলের এক কর্তা বললেন, “গতবারের দশটি দলের অংশ্রগ্রহণ নিশ্চিত। তার মানে এই নয় যে, ইস্টবেঙ্গলের দরজা একেবারে বন্ধ। যাবতীয় শর্ত পূরণ করেই এগারো নম্বর দল হিসেবে ওদের আইএসএলে খেলতে হবে। মনে রাখবেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ইস্টবেঙ্গলকে প্রচুর সময় দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনও আমাদের এই ব্যাপারে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কলকাতার এই বড় ক্লাব এখনও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি। গত এক সপ্তাহ একেবারে উপরের মহলের সঙ্গে লাল-হলুদ কর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। শুক্রবার প্রতিযোগিতার সাংগঠনিক ব্যাপার নিয়ে আমাদের জরুরি সভা রয়েছে। এখানেই ঠিক হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে আরও সময় দেওয়া হবে কি না। এছাড়াও গোয়ার কোন ৩টি স্টেডিয়ামে আইএসএলের ম্যাচ হবে, তাও শুক্রবারই ঠিক হবে।”
জানা গেল, কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আর সম্ভাবনা নেই ইস্টবেঙ্গলের। এখন নর্থ-ইস্ট কিংবা উড়িষ্যা এফসি’র সঙ্গে সংযুক্তিকরণের জন্য আইএফএ এবং আসাম ফুটবল সংস্থা বা উড়িষ্যা ফুটবল সংস্থার এনওসি’র প্রয়োজন। শেষ মুহূর্তে পেপার ওয়ার্ক করার সময় নেই। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা গত সপ্তাহে বলেছিলেন, “অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা ভাবছি না। তাতে সমস্যা অনেক।” এদিকে দিন তিনেক আগে ইস্টবেঙ্গল সহ-সচিবের একটি মন্তব্যে সংযুক্তিকরণের জল্পনা ভেসে উঠেছিল। কিন্তু এখন সেই প্রশ্ন উঠছে না। তবে কী করছেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা? রাজনৈতিক আশ্রয়ে এফএসডিএলের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁরা এখন মুখরক্ষার পথ খুঁজতে ব্যস্ত। এই কৌশল কাজে দেবে কি না তা সময়ই বলবে।