বিগত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশের বাইরে। তবুও সব রকম ভাবে দেশে না ফেরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভারত থেকে পলাতক ব্যাঙ্কে অনাদায়ী ঋণে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া। গোটা দেশ তথা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যখন লকডাউনের পথে হেঁটেছিল, সেই কঠিন সময়েও তিনি তাঁর ১০০ শতাংশ ঋণ শোধ করে দিতে চান বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন মালিয়া। আর তার পরিবর্তে আইনি প্রক্রিয়া থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতেই হঠাতই সুপ্রিম কোর্ট থেকে গায়েব হয়ে গেল বিজয় মালিয়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি নথি।
সূত্রের খবর, আদালত অবমাননা সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া যে আবেদন করেছিলেন, সেই মামলার বেশ কিছু তথ্য ছিল ওই সমস্ত নথিতে। এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ২০১৭ সালেই আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। তারও আগে ছিল ঋণখেলাপির মামলায় দোষী বলে সাব্যস্ত হওয়া। সুপ্রিম কোর্ট যার পরে মালিয়াকে ব্যাঙ্কের বকেয়া প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু মালিয়া সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ না মেনে ছেলে সিদ্বার্থ মালিয়ার অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে দেন।
আদালতের এই নির্দেশ অবমাননার জন্যেও ২০১৭ সালে বিজয় মালিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু ওই রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই ১৪ জুলাই রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন মালিয়া। সেই মামলারই শুনানি বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি অশোক ভূষণের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু শুনানির সময়ই হঠাত দেখা যায় মালিয়ার আবেদন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি আদালতের রেজিস্ট্রিতে নেই। এরপরই তাঁর আইনজীবী আদালতের কাছে বেশ কিছুটা সময় প্রার্থনা করেন। সেই মোতাবেক আগামী শুনানি ২০ আগস্ট হবে বলে জানান বিচারপতিরা। তবে, সুপ্রিম কোর্টের মতো জায়গা থেকে নথি গায়েব হওয়া নিয়ে শোরগোল পড়েছে দেশের নানা স্তরে।