রামমন্দিরের ভূমি পুজোয় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রশাসন৷ একদিকে যেমন করোনা নিয়ে কড়া প্রশাসন, তেমনই চিন্তা বাড়িয়েছে বাঁদর বাহিনী! কারণ মন্দিরের চত্বরের বাঁদররা যেন পুজোর সময় কোনও বাঁদরামি না করে বসে, সেইভাবেই তৈরি হয়েছে প্রশাসন৷
প্রধানমন্ত্রী আসছেন অযোধ্যায়৷ সঙ্গে আরও ২০০জন বিশিষ্ট অতিথি৷ সেখানে কোনওভাবেই বাঁদরের আনাগোনা বরদাস্ত করা যাবে না৷ এমনকী বাঁদরের এদিক ওদিক লম্ফঝম্পে পুজোয় বাঁধা পড়তে পারে৷ সেকারণে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা৷
প্রচুর সরকারি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে শুধুমাত্র বাঁদর হঠাতে৷ তথ্য প্রযুক্তি দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর মুরলি ধর সিং জানিয়েছেন, অযোধ্যা নগর নিগম এবং পশুপালন দফতরের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়েছে৷
গুলতি ও কাঠের পোল ব্যবহার করে বাঁদর তাড়ানো হবে৷ এছাড়াও ছোলা ও ফল দেওয়া হব কিছুটা দূরে দূরে৷ মন্দিরের বাইরে ফল ও ছোলা থাকলে, সেগুলি খেতে ব্যস্ত থাকবে বাঁদররা৷ তাই পুজোর ধারে কাছে ঘেঁষবে না তারা৷ যদিও ৫০০ থেকে ১০০০জন কর্মী সবসময় তাদের চোখে চোখে রাখবে৷ এরা সব সরকারি স্বচ্ছ্ব অভিযানের কর্মী৷ এছাড়াও থাকছে হোম গার্ড, পশুপালন দফতরের কর্মীরাও৷
সব কিছুর মধ্যেই করোনা ভাইরাসের চিন্তাও রয়েছে৷ তাই সংক্রমণ রুখতে তত্পর পুলিশ প্রশাসন৷ কাউকে রাম জন্মভূমির ত্রিসীমানায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না৷ সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে, বাড়িতেই উদযাপন করতে৷