একদিকে যেমন রোজই দ্রুত হারে বাড়ছে সংক্রমণ, তেমনি আবার একনাগাড়ে লকডাউন চালিয়ে যাওয়াও রাজ্যবাসীর পক্ষে সুখকর নয়। তাই দুদিক বজায় রেখেই প্রক্ষিপ্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো আজ বুধবার গোটা রাজ্যজুড়ে চলছে লকডাউন। আগস্টের এই প্রথম লকডাউনে শুনশান রাস্তাঘাট। কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে নাকা তল্লাশির বন্দোবস্তও করা হয়েছে। অকারণে বাইরে কেউ বেরলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে যথোপযুক্ত বন্দোবস্তও। পুলিশি কড়াকড়ির ছবি ধরা পড়ছে সর্বত্রই। অপ্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বেরলে চলছে ধরপাকড়। সবমিলিয়ে যেন বন্ধের চেহারা কলকাতা থেকে জেলায়।
এদিন শহরে ব্যস্ততম ধর্মতলা মোড় হোক কিংবা কাঁকুড়গাছি বা জেলার বিভিন্ন অলিগলি সর্বত্রই শুনশান। কার্যত জনমানবশূন্য চতুর্দিক। ওষুধ ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ। কোথাও নেই মানুষের ভিড়। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। চলছে নাকা তল্লাশি। রাস্তায় বেরনো প্রত্যেকটি গাড়ি থামিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে দেখা হচ্ছে গাড়িচালক কিংবা আরোহীদের পরিচয়পত্র। আদৌ সত্যি কোনও জরুরি প্রয়োজনে তাঁরা বেরিয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন রাস্তায় টহলরত পুলিশকর্মীরা। এছাড়া প্রত্যেকে মাস্ক পরেছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, বর্তমানে লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরনোর প্রবণতাও সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট কম। তার ফলে কিছুটা হলেও কমেছে পুলিশের ঝক্কি।