গতকাল ছিল রাখিবন্ধন উৎসব। করোনা আবহে এবছর কেউই আনন্দের সাথে এই উৎসব পালন করতে পারেনি। তবে নিজেদের ঘরেই ছোট করে পালন হয়েছে এই উৎসব। তেমনই রাখিবন্ধনের দিন রাখি পরিয়ে দাদার কাছে উপহার চেয়েছিলেন বোন লেঙ্গা। তবে সেই উপহার যে সে নয়! লেঙ্গার আবদার ছিল, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে মাওবাদী দাদা মাল্লাকে। আর বোনের সেই আবদারই হাসি মুখে মেনে নেয় দাদা মাল্লা।
এর জন্য থানায় গিয়ে পুলিশের সামনে রাখি পড়ায় বোন লেঙ্গা। তারপর পুলিশের হাতে তার দাদাকে তুলে দেয়। ছত্তিশগঢ়ের রায়পুরের পালনার গ্রামের বাসিন্দা মাল্লা বাড়ি ছেড়েছিলেন মাত্র ১২ বছর বয়সে। যোগ দেয় মাওবাদীদের দলে। ধাপে ধাপে মাওবাদী সংগঠনের মাথা হয়ে দাঁড়ায় এই মাল্লা। প্রশাসন তাঁকে ধরার জন্য তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করে। যার মূল্য ৮ লক্ষ টাকা।
সেই মাওবাদী নেতা বোন লিঙ্গার টানে ১৪ বছর পরে বাড়ি ফেরেন। কারণ এতগুলি বছর ভাইবোনের দেখা হয়নি যে। এ দিন লেঙ্গার সঙ্গে দেখা করেন মাল্লা। লিঙ্গা মাল্লার কাছে আবদার করেন, তিনি যেন জঙ্গলজীবনে আর ফিরে না গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। রাখির দিন বোনের এই আবদার ফেলতে পারেননি দাদা। আত্মসমপর্ণের পরেই মাল্লা জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে বৈরামগড় এরিয়া কমিটির প্ল্যাটুন ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন তিনি। এসপি অভিষেক পল্লব বলেন, “গত এক দশক ধরে সমস্ত নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মাল্লা। যাতে বহু পুলিশকর্মীর প্রাণ গিয়েছে।”