রাজ্যের সংখ্যালঘু মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য ৩টি নতুন বৃত্তি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১ অগস্ট থেকে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি, একাদশ থেকে পিএইচডি কোর্স এবং পেশাদারি ও কারিগরি কোর্সের পড়ুয়ারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, মুসলিম, পার্সি এবং শিখ সম্প্রদায়ের মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য এই বৃত্তি। মূলত তিনটি আলাদা আলাদা নামে এই বৃত্তি দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে পড়ার পাশাপাশি পড়ুয়ার বাড়ির বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে এই বৃত্তি পাওয়া যাবে। একাদশ থেকে পিএইচডি কোর্সের পড়ুয়াদের দেওয়া হবে ‘পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ’। যে সব পড়ুয়া রাজ্যের স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে উচ্চমাধ্যমিক, আইটিআই, ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, বিএড ইত্যাদি কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন, তাঁরা এই বৃত্তি পাবেন। এ ক্ষেত্রে বছরে ১৬,৫০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে।
যারা পেশাদারি ও কারিগরি কোনও কোর্সে পড়াশোনা করবে তাদের জন্য ‘মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ’। এ ক্ষেত্রে পড়ুয়াকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কিংবা অন্য কোনও কারিগরি বা পেশাদারি কোর্স করতে হবে। অথবা, পশ্চিমবঙ্গ বা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে আইআইটি, আইআইএম, এনআইটি, এনআইএফটি, আইআইএফটি ইত্যাদির মতো কোর্স করলেও আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তাদের বার্ষিক পরিবারের আয় ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে হবে।
আবেদনকারীকে শেষ পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে, তবেই আবেদন করা যাবে বৃত্তির জন্য। একজন পড়ুয়া একটি প্রতিষ্ঠান থেকেই বৃত্তি পাবেন। আবেদন রেজিস্ট্রেশনের সময় আবেদনকারীকে মাত্র একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপের ক্ষেত্রে দুটি মোবাইল নম্বর দেওয়া যাবে।
এই আবেদনপত্র জমা দেওয়া ১ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ অক্টোবর, ২০২০। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী ২০১৯-২০ সালে ইতিমধ্যেই স্কলারশিপ পেয়েছেন, তাঁরা কেবল রিনিউয়াল বিভাগেই আবেদন করতে পারবেন।