দলীয় হুইপ জারি হলেই আসন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন শচীন পাইলট শিবিরের কংগ্রেস বিধায়করা। বল্লাভাবনগরের বিধায়ক গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের এই ঘোষণাতেই মরু রাজ্যের রাজনীতিতে ফের ঝড়ের আভাস। শচীন নীরবতা বজায় রাখলেও সরকার বাঁচাতে নতুন করে অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। নিজের নাক কেটে শচীন অপরের যাত্রাভঙ্গ করতে পারেন বলেই মনে করছে গেহলট শিবির।
কংগ্রেসের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের অন্যতম গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, ‘আমরা শচীন পাইলটের সঙ্গে রয়েছি, উনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তা মেনে চলব। কিন্তু, আমি ও আমরা কেউই কংগ্রেস ছাড়তে চাই না। দল অধিবেশনে যোগ দিতে হুইপ জারি করলে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমাদের অসন্তোষের কথা, দাবি-দাওয়া দলের অন্দরেই জারি থাকবে।’
শেখাওয়াত স্মরণ করিয়ে দেন যে, হুইপ বিধানসভার মধ্যে বলবৎযোগ্য, কিন্তু দলীয় বৈঠকের জন্য সেই নির্দেশ জারি করা যায় না। উল্লেখ্য, দু’বার পরিষদীয় বৈঠকে না যোগ দেওয়ায় দলের ১৯ বিধায়ক হুইপ লংঘন করেছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। দলের চিফ হুইপ মহেশ যোশী স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শচীন-সহ ১৯ কংগ্রেস বিধায়ককে বরখাস্ত সংক্রান্ত নোটিস ধরান স্পিকার। পরে স্পিকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়করা।
গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের কথায়, ‘আমরা নেতৃত্বের বদল চাই। গত ৬ বছর ধরে যে প্রাণপাত করে রাজ্যে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরালো তাঁকেই দলের লোকেরা নিকম্মা বলে দেগে দিচ্ছেন। তাই আমাদের লড়াই আত্মমর্যাদার লড়াই। দলেরই থেকে কিছু লোক নিজেদের নেতাদের হেনস্থা করতে মরিয়া। এটা মানব না।’ অবস্থান স্পষ্ট করতে এরপরই ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক বলেন, ‘বিজেপির কারোর সঙ্গে আমরা কথা বলিনি। আমরা যোগ্য সম্মান পেলে কখনোই কংগ্রেস ছাড়তে রাজি নই।’ শুধু শেখাওয়াতই নয়, শচীন শিবিরের লাদনুনের বিধায়ক মুকেশ ভাকর বলেছেন, ‘আমরা কংগ্রেসের নীতি-আদর্শ বিশ্বাস করি। তাই দল ছাড়ার কথা ভাবিনি।’
এহেন অবস্থায় ‘বিদ্রোহী’ ১৯ বিধায়ক আস্থা ভোটে যদি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট দেয় তবে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রশ্নে বিপদ বাড়বে অশোক গেহলটের। তাই কংগ্রেসের অন্দরে এখন নানা অঙ্ক চলছে, নিঃশব্দে তাল ঠুকছে গেরুয়া শিবিরও।