দিল্লীতে থেকেও বাংলার ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে বিজেপির বৈঠক এড়িয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতান্তরের জেরেই কলকাতায় ফিরেছেন তিনি, এই কানাঘুষোর মধ্যেই জল্পনা উস্কে দিয়ে তিনি বলেন, তিনি না থাকলেও দিলীপ-সহ মিটিংয়ে আরও যাঁদের থাকা দরকার তাঁরা সবাই রয়েছেন। এবার ফের ধোঁয়াশা তৈরি করলেন মুকুল রায়! গত সপ্তাহে দিল্লীর বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, শুক্রবার দুপুরের মধ্যে দিল্লী পৌঁছে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মুকুলের। কিন্তু দেখা গেল, গতকাল তিনি দিল্লী যাননি। তাঁর দাবি, সোমবার তিনি দিল্লী যাবেন। তবে শাহ বা অন্য কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠকের কর্মসূচী নেই।
প্রসঙ্গত, মুকুলের গতিবিধি ঘিরে কিছু দিন ধরেই রাজ্য রাজনীতি গুঞ্জনে মুখর। বিধানসভা ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে রাজ্য নেতাদের বৈঠকে মুকুল কার্যত ছিলেন না। এক দিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বাড়িতে সামান্য সময় উপস্থিত থাকার পরের দিন দিল্লীতে থেকেও নির্ধারিত বৈঠকে তিনি যাননি। তার পরেই চোখের চিকিৎসা করাবেন বলে দ্রুত কলকাতায় ফেরেন। বিজেপি সূত্রে তখনই শোনা গিয়েছিল, মুকুল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন। কিন্তু মুকুলের কাছে যখন নাড্ডার দফতর থেকে ফোন যায়, তখন তিনি জানান, কলকাতায় ফিরে এসেছেন।
মুকুল অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করেছেন, নাড্ডার ফোন তাঁর কাছে আসেনি। আরও এক ধাপ এগিয়ে এবার তিনি বলেন, ‘আমি সোমবার দিল্লী যাব ব্যক্তিগত কারণে। শাহের সঙ্গে বৈঠকের কোনও কর্মসূচী নেই।’ স্বাভাবিক ভাবেই গত কয়েক দিন ধরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক থেকে শুরু করে নাড্ডা বা শাহের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা সংক্রান্ত যে কোনও বিষয় থেকে মুকুল নিজেকে ‘আলাদা’ করে রাখছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। তারই পরিপ্রক্ষিতে তাঁর সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব তৈরি হচ্ছে কি না বা মুকুল অন্য কোনও রাজনৈতিক পদক্ষেপ করার কথা ভাবছেন কি না, সেই সব প্রশ্নও সামনে আসছে। যদিও মুকুলের দাবি, তিনি বিজেপিতেই আছেন এবং থাকবেন।