উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষার হাল যে একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে, এ কথা নতুন নয়। বারবারই প্রকাশ্যে এসেছে যোগী রাজ্যের একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা। এবার সেখানের কোভিড ওয়ার্ডে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন বছর কুড়ির এক তরুণী। অভিযোগের তির এক চিকিৎসকের দিকে। সোমবার নয়ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেছে এই কাণ্ড। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকও কোভিড ওয়ার্ডে করোনা রোগী হিসেবেই ভর্তি ছিলেন। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
কোভিড হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কী ভাবে নিয়ম ভেঙে একজন মহিলা ও পুরুষ রোগীকে একসঙ্গে রাখা হয়েছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে ভর্তি হয়েছিলেন এই দুই রোগী। পরপর দু’দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এই দুই জন।
নয়ডা পুলিশের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রণবিজয় সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসক এখনও আইসোলেশনে ওয়ার্ডেই রয়েছেন। সমস্ত নিয়ম মেনে তাঁর বয়ান নেবে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তদন্তের স্বার্থে কথাবার্তা বলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কেন কোভিড ওয়ার্ডে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না তা নিয়েও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। দোষ প্রমাণ হলে সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে এমন ঘটনা নতুন নয়। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ দিল্লীর একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিল করোনা সংক্রমিত কিশোরী। অভিযুক্ত দুই যুবকও করোনা রোগী। অভিযোগ, গত ১৫ জুলাই রাতে ওই কিশোরী যখন শৌচাগারে যায় সেই সময়ই তার উপর অতর্কিতে হামলা করে এক তরুণ। তার সঙ্গী আর এক অভিযুক্ত যুবক এই গোটা হেনস্থার ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করতে থাকে। ঘটনার পরে ওই কিশোরী প্রথমে কাউকেই কিছু জানায়নি। তার পরে ওই কোভিড কেয়ার সেন্টারেই তার পরিবারের এক সদস্যকে বিষয়টি বললে জানাজানি হয়।